পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে উধাও হল প্রতারক।
মঙ্গলবার সকালে, কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে ওই ঘটনার পরে প্রতারককে অবশ্য ধরতে পারেনি পুলিশ। নদিয়া জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে যে ওই ব্যক্তি পুলিশের কর্মী নাকি নিছকই প্রতারক।”
কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনের পাশেই একটি চায়ের দোকানে প্রায়ই আসত এক যুবক। নিজেকে সে পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দিত। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সে দিন ওই দোকানে এসে সে জানায়, পুলিশ লাইনের মালখানায় রাখা কিছু চাল এ বার সস্তায় বিক্রি করা হবে। নিজেই প্রস্তাব দেন, আগ্রহী থাকলে ওই চাল কিনিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারে সে। চায়ের দোকানি গোপাল ঘোষ লোভে পড়ে যান। পরের দিন টাকা নিয়ে সটান তিনি পুলিশ লাইনে হাজির হন। সেখানে ওই প্রতারক তার কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে একটি চিরকুট দিয়ে বলেন, মালখানায় গেলেই তাঁকে চাল দেওয়া হবে। গোপাল বলেন, “মালখানায় গিয়েই বুঝি কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে। মালখানার লোকেরা আকাশ থেকে পড়েন। আমি পুলিশ লাইনে ফিরে ওই প্রতারকের খোঁজ করতে থাকি। কিন্তু বহু খুঁজেও তার হদিস মেলেনি।”
কিন্তু নিজেকে ‘রায়বাবু’ বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি কি আদৌ পুলিশকর্মী? নাকি পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণাই তার পেশা? কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে সেটাই এখন প্রশ্ন। পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর পবিত্র বারিক বলেন, ‘‘আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পুলিশ লাইনে ওই চেহারার কিংবা ওই নামের কেউ নেই। তদন্ত চলছে।” |