বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসন এক নাবালিকার পড়াশোনার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব নেওয়ার কথাও ঘোষণা করল।
মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে নবদ্বীপের মহেশগঞ্জের এক নাবালিকার বিয়ে ভেস্তে দিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। তাকে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছিল সেলাই মেশিনও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার রাতে মায়াপুরের বল্লালদিঘি গ্রামের হরিসভাপাড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার বিয়ের আসর বসেছিল। রাতেই বিয়ে। সন্ধ্যায় চলছিল গায়ে হলুদ পর্ব। এমন সময় এই বিয়ের খবর যায় প্রশাসনের কাছে। খবর পেয়ে কালবিলম্ব না করে দ্রুত বিয়ের আসরে ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ ওই কিশোরী ও তার বাবা-মাকে নিয়ে নিয়ে আসে স্থানীয় নবদ্বীপ থানায়। সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় জেলা শাসকের দফতরে। ততক্ষণে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমেছে।
অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) উত্পল ভদ্রের উপস্থিতিতে ওই নাবালিকার বাবা-মা মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে সম্মত হন। ওই কিশোরীর ভ্যানচালক বাবা বলেন, “দু’বেলা পেট চালানোর পাশাপাশি মেয়ের পড়াশুনার খরচ আর টানতে পারছিলাম না। তাই ভাল পাত্রের সন্ধান পেতেই মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলাম। তবে এখন আর মেয়ের বিয়ে দেব না। ওকে পড়াশুনার সুযোগ করে দেব।”
অতিরিক্ত জেলা শাসক উত্পলবাবু বলেন, “মেয়েটি আবার আগের মত পড়াশুনা চালিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে প্রশাসন তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবে। পাশাপাশি ওই পরিবার যাতে অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়, তা দেখা হবে।” |