বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ন’জন ক্রিকেটার-কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করল আইসিসি-র দুর্নীতি দমন বিভাগ। তবে তাঁদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।
পাল্টা আবেদন বা দোষ স্বীকার করার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে ন’জনকে। তার মধ্যে সরকারি ভাবে কারও নাম প্রকাশ করা হবে না বলেই জানিয়েছে বাংলাদেশ বোর্ড। তাঁরা কারা, এই নিয়ে অবশ্য জোর জল্পনা শুরু হয়েছে সে দেশের ক্রিকেট মহলে। বোর্ডের বিশেষ ট্রাইবুনালই ঠিক করবে, কার কী শাস্তি হবে।
আইসিসি-র দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিএসইউ) এই প্রথম কোনও বড়সড় সাফল্যের ঢাক পেটানোর জন্য এ দিন ঢাকায় হাজির ছিলেন খোদ সিইও ডেভ রিচার্ডসন। এক নামী হোটেলে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ঘোষনা করা হয়, সাত জনকে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য ও দু’জনকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও তা দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পাঠানো হয়ে গিয়েছে।
গড়াপেটার অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় মহম্মদ আশরাফুলকে এ দিনই চার্জশিট দেয় এসিএসইউ। তাঁকে এ দিন ডেকেও পাঠানো হয়েছিল। এসিএসইউ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ওঁদের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করেছি। আশা করি সে জন্য আমাকে কম শাস্তি দেওয়া হবে। তিন বছরের বেশি না হলেই ভাল। তা হলে আমি ক্রিকেটে ফিরতে পারব। আমি যে ক্রিকেট মাঠে ফিরতে চাই, সেই আবেদন রেখেছি।”
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ওঠা গড়াপেটা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য আইসিসি-র দুর্নীতি দমন বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্তের মেয়াদ বারবার বাড়ানোর পর অবশেষে তা শেষ করল এসিএসইউ। এখানেই তাদের কাজ শেষ। এ বার যা করার, করবে বাংলাদেশ বোর্ড। বিসিবি-র আচরণবিধি অনুযায়ী স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমানিত হলে পাঁচ বছর থেকে চিরনির্বাসনের শাস্তি হতে পারে এবং জুয়াড়িদের প্রস্তাবের কথা না জানানোর অভিযোগ প্রমানিত হলে এক থেকে পাঁচ বছরের নির্বাসন হতে পারে দোষীদের। দু-তিন দিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের শুনানির জন্য ডাকা হবে বিসিবি-র একটি ট্রাইবুনালে।
|