|
|
|
|
বিরোধে বন্ধ উন্নয়ন, কোপ মিড ডে মিলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বিরোধের জেরে সঙ্কট দেখা দিয়েছে ডেবরার বালিচক ভজহরি ইনস্টিটিউশনে। স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বন্ধ। সোমবার মিড ডে মিল পর্যন্ত রান্না হয়নি। কিছুটা আগে স্কুল ছুটিও হয়ে যায়।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দু’দিন আগেই প্রধান শিক্ষক বাসুদেব বর্মনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে স্কুল পরিচালন সমিতি। তারপরই এই সমস্যা। কিন্তু কেন? স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বক্তব্য, “উনি (বাসুদেববাবু) সোমবার স্কুলে না আসায় কিছু ঘরের তালা খোলা সম্ভব হয়নি। চাবি আমাদের কাছে না থাকায় ঘরগুলো তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল।” তাঁর কথায়, “মঙ্গলবার অবশ্য উনি চাবি পাঠিয়েছেন। ফলে, এদিন মিড ডে মিল রান্না হয়েছে।”
সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে ডেবরার বিডিও মালবিকা খাটুয়াকে চিঠি লিখেছেন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক রঞ্জিতকুমার পাল। রঞ্জিতবাবুর কথায়, “সমস্যার কথা চিঠিতে জানিয়েছি। এই পরিস্থিতির জেরে পড়াশোনার যাতে ক্ষতি না- হয়, সেজন্য চেষ্টা করছি।” আলোচনায় কি সমস্যা মিটবে? সদুত্তর নেই সম্পাদকের কাছে। এই স্কুলে বারোশোর বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের বক্তব্য, এ ভাবে স্কুল চলতে পারে না। দ্রুত সমাধানসূত্র বের করা জরুরি।
গত ডিসেম্বরে স্কুলে নতুন পরিচালন সমিতি তৈরি হয়। সম্পাদক হন রঞ্জিতকুমার পাল। রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক স্কুল উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় করেছেন। এই মর্মে পুলিশেও লিখিত অভিযোগ করেছেন রঞ্জিতবাবু। তবে বাসুদেববাবুর বক্তব্য, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বিরোধে সমস্যা দেখা দিয়েছে স্কুলের উন্নয়ন নিয়েও। সাধারণত, স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দু’জনের নামে হয়। একজন প্রধান শিক্ষক। অন্যজন পরিচালন সমিতির সম্পাদক। এই স্কুলেও তাই রয়েছে। কিন্তু, দু’জনের বিরোধের জেরে স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ। সম্পাদক মানছেন, “সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ৫ লক্ষ টাকা এসেছে। নতুন ক্লাসরুম হবে। কিন্তু কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্কুলে ডিস্ট্রিবিউশন কাম রিসেপশন সেন্টার (ডিসিআরসি) থাকায় স্কুল বন্ধ ছিল। ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হয়। কবে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সেটাই দেখার।
|
পুরনো খবর: টাকা নয়ছয়, বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক |
|
|
|
|
|