|
|
|
|
টাকা নয়ছয়, বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করল স্কুল পরিচালন সমিতি। ডেবরার বালিচক ভজহরি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে বালিচকের ওই স্কুলে নতুন পরিচালন সমিতি গঠন হয়। সম্পাদক হন রঞ্জিতকুমার পাল। এরপরই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু হয়। সমিতির বক্তব্য, স্কুলের জন্য বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে। পরিচালন সমিতির সম্পাদক রঞ্জিতবাবুর কথায়, “লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিগ্রস্ত। উনি হিসেব দেখাতে পারেননি। হিসেবে বহু গরমিল হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক বাসুদেব বর্মণ। তাঁর পাল্টা নালিশ, “অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তাঁর কথায়, “আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে নীতি বর্হিভূত ভাবে সভা ডেকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, বিদ্যালয়ের অর্থের হিসেবের জন্য সরকারি অডিটর রয়েছে। তবু সমিতি বেসরকারি অডিটর দিয়ে অডিট করাতে চাওয়ায় তিনি আপত্তি করেন। তাই এই অপপ্রচার করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, পরিচালন সমিতির সম্পাদকের বক্তব্য, মিড ডে মিল থেকে সরকারি অনুদান- সব কিছুর টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্কুলের দু’টি পুকুরের মাছ বিক্রির টাকার হিসেবেও গরমিল রয়েছে। স্কুল সূত্রে খবর, শনিবার বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের নিয়ে একটি সভা হয়। পরে পরিচালন সমিতিরও সভা হয়। দু’টি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন রঞ্জিতবাবু। সমিতির সম্পাদক জানিয়েছেন, আপাতত একজন সহ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে কে বসবেন, সোমবার তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বাসুদেববাবুর মন্তব্য, “এ ভাবে কোনও প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা যায় বলে জানা ছিল না!” |
|
|
|
|
|