|
|
|
|
স্থলসীমান্ত চুক্তির পক্ষে সওয়াল বরুণের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি রূপায়ণ সংক্রান্ত বিলটি পাশ করাতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সনির্বন্ধ অনুরোধও খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। লালকৃষ্ণ আডবাণী মঙ্গলবারই তাঁর ব্লগে বলেছেন, “সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে আমাদের দলের নেতৃত্ব এই চুক্তির বিরোধিতা করছে বলে আমরা বিলটিকে সমর্থন করতে পারছি না এ কথাই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি।”
কিন্তু এ দিনই একটি ইংরেজি দৈনিকে লেখা প্রবন্ধে বিজেপি নেতা বরুণ গাঁধী দলের অবস্থানের একেবারে উল্টো পথে হেঁটে অবিলম্বে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তি করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ‘সংশ্লিষ্ট রাজ্য’ বলতে আডবাণী বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ ও অসম শাখার কথাই বলেছেন, যাদের বিরোধিতাকে দল নীতি হিসেবে নিয়েছে। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাহুল সিংহ ঘোষণা করেছেন, কিছুতেই তিনি স্থলসীমান্ত চুক্তি হতে দেবেন না। অথচ বরুণ গাঁধীই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক। তিনি এখন কলকাতায়। প্রবন্ধে বরুণ অবশ্য স্থলসীমান্ত ও তিস্তা চুক্তি না করতে পারার জন্য কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারকেই দুষেছেন। বরুণের মতে, কেন্দ্র এই দুই চুক্তি না করে দু-দেশের সম্পর্ক মজবুত করার সুযোগ হারিয়েছে। চুক্তি দুটির বিনিময়ে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পণ্য চলাচলের টানজিট সুবিধেও পেতে পারত ভারত।
প্রতিবেশী এই দেশে নতুন করে কট্টর ইসলামি শক্তির উত্থানে উদ্বেগ জানিয়ে বিজেপির এই তরুণ নেতা বলেছেন, এই প্রবণতা রোধে তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি সহায়ক হতে পারত। আগামী সোমবার রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে স্থলসীমান্ত বিলটি। প্রশ্ন, রাহুল সিংহরা কি তাঁদের নেতার এই যুক্তি মেনে চুক্তি-বিরোধিতার পথ থেকে সরে আসবেন? |
সিঙ্গুরের কথা তুলে ধরবেন বরুণ |
দলীয় কর্মীদের অত্যুত্সাহে মঙ্গলবার সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ায় বিজেপি নেতা বরুণ গাঁধীর সভা বিশৃঙ্খলায় পরিণত হল। তবে তার মধ্যেই বরুণ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জেনেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বিপন্ন কৃষকদের তালিকা তৈরি করলে তা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করবেন তিনি। বরুণ বলেন, “কথা বলে জানলাম, কৃষকরা না পেয়েছেন ক্ষতিপূরণ, না পেয়েছেন প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি। বামপন্থী এবং তৃণমূল সরকার দু’ পক্ষই আপনাদের আবেগ নিয়ে খেলা করেছে। পরে আর আপনাদের নিজের লোক ভাবেনি।” এই প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির কাছে দরবারের প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি-র নতুন পর্যবেক্ষক। যদিও এ দিন কিছু কৃষক বরুণের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও বিজেপি কর্মীদের বিশৃঙ্খলার চাপে তাঁর কাছে পৌঁছতে পারেননি।
|
পুরনো খবর: মোদীর উল্টো পথে হেঁটে মমতাকে আক্রমণ বরুণের
|
|
|
|
|
|