চলতি খাতে বাণিজ্য লেনদেন ঘাটতিতে রাশ টানতে কেন্দ্রের পদক্ষেপে সামান্য হলেও ঘুরে দাঁড়াল টাকা। উঠল শেয়ার বাজারও। সেই উত্থানে ইন্ধন জোগাল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার দর। সাহায্য করল অন্যান্য এশীয় দেশগুলির চাঙ্গা শেয়ার বাজারও। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, টাকা কিংবা বাজারের এই ‘ফুরফুরে মেজাজ’ নেহাতই সাময়িক। সংস্কারের হাত ধরে অর্থনীতির মূল সমস্যাগুলির সমাধান না-হলে, দীর্ঘ মেয়াদে এই দু’য়ের হাল ফেরা শক্ত।
গত জুনেও শিল্পোৎপাদন ফের সঙ্কুচিত হওয়ায় মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে গতকালের থেকেও অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছিল টাকা। ডলারের দর ছুঁয়েছিল ৬১.৬৬ টাকা। কিন্তু এর পর কেন্দ্র সোনা-রুপোর উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় তা ঘুরে দাঁড়ায়। শেষে আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়সা পড়ে ডলার দাঁড়ায় ৬১.১৯ টাকায়। অনেকেই মনে করেন, শুল্ক বাড়ায় সোনার দর চড়লে, তার চাহিদা কমবে। ফলে তখন তুলনায় কম ডলার খরচ হবে সোনা আমদানিতে। তা ছাড়া, চলতি খাতে ঘাটতি কমাতে কেন্দ্র আরও যে সব পদক্ষেপ করেছে, তার দৌলতে বাড়বে দেশে ডলার আসাও। মূলত এই আশাতেই এ দিন মার্কিন মুদ্রায় টাকার দর চাঙ্গা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
শিল্পোৎপাদন সঙ্কুচিত হওয়ার খবর এ দিন প্রভাবিত করে শেয়ার বাজারকেও। তবে উল্টো ভাবে। কারণ অনেকের ধারণা, এর ফলে আগামী ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমাবে। তাই এ দিন শেয়ার দর বেড়েছে ব্যাঙ্ক, গাড়ি এবং নির্মাণ সংস্থাগুলির। যাদের ব্যবসা অনেকটাই সুদের উপর নির্ভরশীল। দিনের শেষে ২৮২.৮৬ পয়েন্ট উঠে সেনসেক্স পৌঁছছে ১৯,২২৯.৮৪ অঙ্কে।
|