কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি। দু’জন কাউন্সিলরকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল দলে টানতে চেয়েছিল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস পরিচালিত সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখ এবং জেলা সম্পাদক তথা এলাকার নেতা সব্যসাচী দত্ত। দু’জনেই বলেন, “কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে তৃণমূল যে বোর্ড গঠন করার কথা ঘোষণা করেছে, তা মিথ্যা।” পুরপ্রধানের দাবি, “কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি। আমাদের দু’জন কাউন্সিলরকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল তাদের দলে টানতে চেয়েছিল। তাঁরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমাদের পাশেই রয়েছেন।” তাঁর আরও সংযোজন, “নিহত অশোক ঘোষ আগে কংগ্রেস করতেন। তৃণমূলে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পড়ে খুন হতে হল।” যে দুই কাউন্সিলরকে তৃণমূল ভুল বুঝিয়ে দলে টানতে চেয়েছিল বলে দাবি কংগ্রেস নেতাদের, তাঁরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের চায়না বাউড়ি ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গণেশ দাস। |
বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা। ছবি: অনির্বাণ সেন |
দু’জনেই কিন্তু এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে বোলপুরে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে পৌঁছে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ছ’জন-সহ সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ কাউন্সিলর। মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলের দাবি নস্যাৎ করা হয় ১০ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে। বীরেন্দ্রবাবু বলেন, “আমি অসুস্থ। সরে আসতে চেয়ে দলের কাছেই আগে জানিয়েছিলাম। সোমবার পদত্যাগপত্র দিয়েছি।” তৃণমূলের সাঁইথিয়া একমাত্র কাউন্সিরক শান্তনু রায় মঙ্গলবারও দাবি করেন, “কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা লোকেরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছে। ভোটাভুটিতে প্রমাণ হয়ে যাবে।” |