চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু হতে চলেছে চোপড়ার কমলা পাল স্মৃতি কলেজ। ১২ অগস্ট থেকে কলেজে ভর্তির আবেদন পত্র বিলি করা হবে। প্রথম বছরে শুধুমাত্র চোপড়া ব্লকের ছাত্রছাত্রীদেরই ভর্তির সুযোগ মিলবে। কলেজের নিজস্ব ভবন এখনও তৈরি না হওয়ায় চোপড়া হাইস্কুল ভবনেই কলেজের কাজ চলবে। সকাল ৬ টা থেকে ১১টা স্কুল ভবনে কলেজের কাজ চলবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমে চোপড়া কলেজকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাখার প্রস্তাব করা হলে পরে, আইন সংশোধন করে কলেজকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের আওতায় আনা হয়েছে। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সমনজিত সেনগুপ্ত বলেন, “ইতিমধ্যে কলেজের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরি সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।” চোপড়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা সাহা বলেন, “খুবই সুবিধে হল। দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টা সার্থক হল।” চলতি শিক্ষাবর্ষে কেবল মাত্র কলা বিভাগের পাস পাঠক্রমের ইংরেজি, বাংলা, উর্দু, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ে পড়ানো হবে। প্রতিটি বিষয়ে দু’জন করে শিক্ষক নিয়োগ হবে।
|
জল বাড়ছে গঙ্গায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
গঙ্গার জল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চরম বিপদসীমা (২৫.৩০ মিটার) অতিক্রম করে। মানিকচকের ধরমপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভূতনির হীরানন্দাপুরের কালুটোনটোলার রিং বাঁধের অবস্থা সংকটজনক। জেলা সেচ দফতরেরে নির্বাহী বাস্তুকার (গঙ্গা) অমরেশ সিংহ জানান, বালির বস্তা ফেলে রিং বাঁধ শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। মানিকচকের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে জেলাশাসক এ দিন ভূতনিতে যান। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির জন্য কর্মী আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার, ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।” ফের প্লাবিত না হলেও মানিকচকের ধরমপুর, জোতপাট্টার ৩০০ পরিবার, ভূতনির হীরানন্দপুরের নন্দীটোলা, গিরিধারীটোলা এবং কালুটোনটোলার ৫০০ পরিবার জলবন্দি হয়ে আছেন।
পুরনো খবর: জল বাড়ছে উত্তরের নদীতে, সতর্কতা
|
মায়ের কাছে শিশুকে ফেরাতে নির্দেশ নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলে বন্দি পাঁচ বছরের শিশু পুত্রকে মায়ের কোলে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি হিলি থানার পুলিশ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশের নাগরিক ১৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে বাবা তমিজুদ্দিন মিঁয়ার সঙ্গে বালুরঘাট জেলে বন্দি ৫ বছরের শিশু ফারহাদ আলি সাজা খাটছিল। তার মা রুমা বেগম ছেলেকে ফিরে পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তার মার হাতে তুলে দিতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর ইদের আগে সন্তান ফিরে পাওয়ার আদেশে এ দিন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। রুমা বেগম বলেন, “আজ, শুক্রবারই আমরা বালুরঘাটের জেলে গিয়ে ফারহাদকে ফিরিয়ে আনব।” |