এসজেডিএ-র ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় মালদহ জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমারকে গ্রেফতারে পুলিশ অনুমতি চাওয়ায় প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এসজেডিএ প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জি কিরণ কুমারকে মালদহের জেলাশাসক পদ থেকে সরানোর দাবিতে সরব জেলার অধিকাংশ সাংসদ, বিধায়ক। তবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র কিন্তু ওই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। সাবিত্রী দেবী বলেছেন, “অন্য কোথায় উনি কী করেছেন জানি না। এ জেলায় ভালই কাজ করছেন।”
এ ব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমারের দাবি, “আমি এসজেডিএর কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সে তো এক মাস আগের ব্যাপার। ৫ জুলাই আমি কথা বলেছি। যদি আমাকে ওরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেন, আমি আবার যাব। আমাকে গ্রেফতার করতে চেয়ে ডিজির কাছে পুলিশ অনুমতি চেয়েছে বলে যে বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।” সম্প্রতি গোদালা কিরণ কুমারকে কয়েক দফায় পুলিশ জেরা করেছে। এসজেডিএ দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের জেরার মুখে বার বার গোদালা কিরণ কুমারের নাম উঠে এসেছে।
এ অবস্থায় দক্ষিণ মালদহ কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেছেন, “সংবাদমাধ্যমে যা জানলাম তাতে মালদহের জেলাশাসককে সরানো প্রয়োজন। রাজ্যে সরকারের পুলিশ ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে। এত সবের পরেও শাসক দলের দুই মন্ত্রী জেলাশাসককে জেলায় রাখার চেষ্টা করবেন কেন? রহস্যটা কী? আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।”
উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর প্রশ্ন তুলেছেন, “যেখানে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়, সেখানে সিইওকে কেন মালদহে জেলাশাসক করা হল? পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের আইএএসকে জেলায় পাঠানোর কিছু উদ্দেশ্য ছিল কি?” জেলার হবিবপুরের সিপিএমের বিধায়ক খগেন মুর্মুও চান, তদন্তের স্বার্থে অপসারণ জরুরি। জেলা প্রশাসনের সদর দফতরেও দিনভর ছিল ওই মামলা নিয়েই আলোচনা। এ দিন অফিসে যাননি জেলাশাসক। |