টুকরো খবর
খাল উপচে তীব্র বেগে কজওয়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল জল। সেই কজওয়ে পার হতে গিয়ে ভেসে গেল একটি খালি ট্রাক। কেবিনের দরজা খুলে ওই ট্রাকের চালক ও খালাসি আমোদরের খালে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে তাঁরা সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। ট্রাকটি কিছু দূর ভেসে গিয়ে খালের এক পাড়ে আটকে যায়। বৃহস্পতিবার কোতুলপুর থানার চাতরার কাছে আমোদরের সেতুতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। কজওয়ে জলমগ্ন থাকায় চাতরা মোড় থেকে রামডিহা যাওয়ার রাস্তায় এ দিন পরিবহণ কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে। দুই প্রান্তের শুকজোড়া, লেগো, চাতরা, দারাপুর ইত্যাদি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েন।
আমোদরের সেতুর পাশে জলে ভাসছে ট্রাক। ছবি: শুভ্র মিত্র।
চাতরা গ্রামের বাসিন্দা অপু মান্না বলেন, “আমাদের গ্রামে একটি কলেজও রয়েছে। ফি বছর বর্ষায় একই সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনকে অসুবিধার কথা জানিয়েও কাজ হয়নি।” বুধবার অতিবৃষ্টির জেরে খাল উপচে জল ঢুকে পড়ে ইন্দাসের গোকুলচক গ্রামে। কয়েকটি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরে ১৫টি পরিবারের সদস্যদের স্থানীয় শান্তাশ্রম প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জল সরে যাওয়ায় তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই ১৫টি পরিবারকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। ব্লকের ত্রাণ আধিকারিককে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছিল। তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম পাঁচ
পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেও রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিরাম নেই বাঁকুড়ায়। বুধবার রাতে ওন্দা থানার আগড়দা গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মতো সংঘর্ষে আহত হন পাঁচ জন। মারধরে আহত হন ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সজল নিয়োগী। তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহাদেব মল্ল, হারাধন মল্ল, শিশির দিগার ও লক্ষ্মণ দাস তাঁদের দলের সমর্খক বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। তাঁরা আগড়দা গ্রামের বাসিন্দা। আগড়দা গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিল চলাকালীন গণ্ডগোল বাঁধে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিজয় মিছিলের নামে একদল তৃণমূল কর্মী সিপিএমের পতাকা ছেঁড়ে। ওদের হাতে লাঠি, টাঙি-সহ ধারাল অস্ত্র ছিল। আমাদের সমর্থকদের ওরা মারধর করে।” তৃণমূলের ওন্দা ব্লক সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা বিজয় মিছিল করিনি। প্রার্থীদের জয়ী করায় গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলাম। সিপিএমের লোকেরা হামলা করে।” জখম এক সিপিএম সমর্থক মৃত্যুঞ্জয় গরাই অভিযোগ করেন, “আমরা পাড়ার মোড়ে চা খাচ্ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল করতে বেরিয়ে লাঠি, টাঙি নিয়ে মারধর করে।”

জোড়া মৃত্যু, ধৃত ছেলে
শাশুড়ি-বউমার জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তিন সপ্তাহ পরে ওই বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করল। ধৃতের নাম গৌরাঙ্গ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ জুলাই বোরো থানার নেকড়া গ্রামে একই ঘরে শাশুড়ি লক্ষ্মীপ্রিয়া মণ্ডল ও বউমা চন্দনা মণ্ডলের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ মেলে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল। সম্প্রতি ওই দেহগুলি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে এসেছে। মৃত বধূ চন্দনার বাপের বাড়ির লোকজনও পুলিশের কাছে গৌরাঙ্গর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশের দাবি, ওই বধূকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও তার প্রমাণ মিলেছে। দম্পতির তিন ও চার বছরের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, ওই দুই শিশু তাদের কাছে জানিয়েছে, সে দিন রাতে লক্ষ্মীপ্রিয়া ও চন্দনার মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। চন্দনার সঙ্গে লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যুর কারণ জানতে গৌরাঙ্গকে জেরা করবে পুলিশ। মৃত চন্দনাদেবীর বাবা গোপাল মণ্ডল বলেন, “শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর অত্যাচার হত জানতাম। কিন্তু মেয়েকে মেরে ফেলা হবে ভাবিনি।”
পুরনো খবর:
প্রাথমিক স্কুলে বাজ, মৃত ছাত্রী
বাজ পড়ে স্কুলের মধ্যেই মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দার আমলাগুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মানা মাল (৯) আমলাগুড়ার মালপাড়ার বাসিন্দা। সে ক্লাসঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিল। ঘটনার পরে প্রায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওন্দা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিত্‌ দেওঘরিয়া চিকিত্‌সক দল নিয়ে ওই স্কুলে যান। তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়া পড়ুয়াদের চিকিত্‌সা করেন। অভিজিত্‌বাবু বলেন, “তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্‌সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” বাজের শব্দ এবং চোখের সামনে মৃত্যু দেখে বাকি পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে চিকিত্‌সকদের ধারণা।

জাল নোট, ধৃত
বুধবার রাতে কোতুলপুর থানার পান্নাবাজারে জাল নোট নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে পাকড়াও হলেন এক ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, ধৃত শেখ খলিলের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃতের বাড়ি হুগলির গোঘাট থানার ভুরকুণ্ডা গ্রামে। পুলিশ জানায়, পান্নাবাজারে একটি কাপড়ের দোকানে খলিল পোশাক কিনে ব্যবসায়ীকে একটি হাজার টাকার নোট দেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে বসিয়ে রেখে ব্যবসায়ীটি থানায় খবর পাঠান। পুলিশ গিয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.