পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেও রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিরাম নেই বাঁকুড়ায়। বুধবার রাতে ওন্দা থানার আগড়দা গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মতো সংঘর্ষে আহত হন পাঁচ জন। মারধরে আহত হন ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সজল নিয়োগী। তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহাদেব মল্ল, হারাধন মল্ল, শিশির দিগার ও লক্ষ্মণ দাস তাঁদের দলের সমর্খক বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। তাঁরা আগড়দা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগড়দা গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিল চলাকালীন গণ্ডগোল বাঁধে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিজয় মিছিলের নামে একদল তৃণমূল কর্মী সিপিএমের পতাকা ছেঁড়ে। ওদের হাতে লাঠি, টাঙি-সহ ধারাল অস্ত্র ছিল। আমাদের সমর্থকদের ওরা মারধর করে।” তৃণমূলের ওন্দা ব্লক সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা বিজয় মিছিল করিনি। প্রার্থীদের জয়ী করায় গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলাম। সিপিএমের হার্মাদরা তীর-ধনুক নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।”
জখম এক সিপিএম সমর্থক মৃত্যুঞ্জয় গরাই অভিযোগ করেন, “আমরা পাড়ার মোড়ে চা খাচ্ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল করতে বেরিয়ে লাঠি, টাঙি নিয়ে আমাদের মারধর করে।” হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সজল নিয়োগীর দাবি, “সিপিএমের বাইক বাহিনী আমাদের উপর তীর-ধনুক নিয়ে চড়াও হয়। আমাদের এক কর্মী আদিত্য নিয়োগীর পায়ে তির বেঁধে।”
সত্যবাবুর দাবি, “আমাদের চার জন সমর্থককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে তৃণমূল।” যদিও ঘটনাটিকে এখনই রাজনৈতিক সংঘর্ষ বলতে নারাজ পুলিশ। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, তাঁদের কাছে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংঘর্ষ নিয়ে যে অভিযোগ জমা দিয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক কারণ উল্লেখ করা হয়নি। সংঘর্ষের কারণ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার নিমাইচাঁদ দেবনাথ বলেন, “আগড়দার ঘটনায় পাঁচ জন জখম হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।” |