|
|
|
|
দুর্গাশক্তির বন্ধুকে খতম করার চেষ্টা বালি মাফিয়ার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বন্ধুর মতো তিনিও রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। যার জেরে প্রায় মরতে বসেছিলেন মহকুমাশাসক ইউনুস খান। যিনি উত্তরপ্রদেশের আইএএস অফিসার দুর্গাশক্তি নাগপালেরই সহপাঠী।
হিমাচলপ্রদেশের নালাগড়ের মহকুমাশাসক ইউনুস। বৃহস্পতিবার শিমলা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোলান
দুর্গাশক্তি নাগপাল |
জেলায় বেআইনি ভাবে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্র্যাক্টর। খবর পেয়ে সহকর্মীদের নিয়ে ওই ট্র্যাক্টরের পিছনে ধাওয়া করেন ইউনুস। ওই সময় ট্র্যাক্টর চালক তাঁকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে। এক বার নয়। অন্তত চার বার। শেষমেশ ট্র্যাক্টর উল্টে যায়। বরাতজোরে বেঁচে যান ইউনুস। চালক পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বালি মাফিয়াদের আটকানোয় হিমাচল সরকারের তরফে তাঁর উপরে কোনও রকম চাপ সৃষ্টি করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ইউনুস।
অথচ দুর্গাশক্তির বিরুদ্ধে এখনও ক্ষোভ উগরেই চলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার একটি মার্কিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নয়ডার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্ব সামলাতে দুর্গাশক্তিকে রাখায় তিনি আফশোস করছেন। মানবিক কারণেই তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুর্গার স্বামীর অনুরোধ রাখতে। কারণ নাগপালের আইএএস অফিসার স্বামী গাজিয়াবাদে কর্মরত। বালি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে দুর্গার সাসপেনশনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে ওই পত্রিকায় ফের দাবি করেছেন অখিলেশ। তাঁর কথায়, “ওই এলাকায় বালি মাফিয়াদের রুখতে ওই অফিসার কী করেছেন, তার কিছুই জানি না।” এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, দুর্গার সাসপেনশনের স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা। পরে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পি সৎশিবনের বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই মামলার শুনানি হবে সোমবার।
|
পুরনো খবর: ঠিক শাস্তিই হয়েছে দুর্গার, হুঙ্কার মুলায়মের |
|
|
|
|
|