এক বছর সাত মাসের মাথায় পূর্বস্থলীর তৃণমূল নেতা সজল ঘোষ হত্যা মামলার চার্জগঠন হল। বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা এবং সেশন জজ শুভব্রত চৌধুরীর আদালতে মামলাটির চার্জগঠন হয়।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রাতে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে গুলিতে খুন হন পূর্বস্থলীর তৃণমূল অঞ্চল সহ-সভাপতি সজল ঘোষ। সেই রাতেই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় পূর্বস্থলীর কালেখাঁতলা ২ পঞ্চায়েতের কলেজপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ সাহাকে। প্রদীপবাবু পারুলিয়া কুলকামিনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা সিপিএমের পূর্বস্থলী লোকাল কমিটির সম্পাদক। ঘটনার রাত থেকেই জেলে রয়েছেন প্রদীপবাবু। খুনের ঘটনায় মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অন্যতম অভিযুক্ত লোকনাথ দেবনাথকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। বাকি সন্তু ভৌমিক, হানিফ মণ্ডল, সোহরাবউদ্দিন এবং সর্কউদ্দিন জামিনে আছেন।
নবদ্বীপ আদালতের সরকারি কৌসুলী সনৎকুমার রায় বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩২৬, ৩০২ ও ১২০ বি ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ নম্বর ধারাতেও অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর।”
বৃহস্পতিবার আদালতে প্রদীপবাবু বলেন, “আমি নির্দোষ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমাকে।” এই এক বছর সাত মাসে প্রদীপবাবুর জামিনের জন্য হাইকোর্টে একাধিক বার আবেদন জানানো হলেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁর স্ত্রী, পেশায় শিক্ষিকা শম্পা মৈত্রের দাবি, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে ওনাকে, নাহলে চার্জ গঠন করতে দেড় বছর লাগে! তবে আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখছি।”
|