রাত পেরোলেও জলমগ্ন শহরের অনেক এলাকা
বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও জল নামেনি বর্ধমান শহরের নানা জায়গায়। ফলে, বেশ নাজেহাল শহরবাসী। ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এ দিন জলবন্দি এলাকাগুলি পরিদর্শন করা হয়। পরে পুলিশ ও নাগরিক কমিটির তরফে ডাল, তেল, শিশুখাদ্য, চিঁড়ে ও গুড় দেওয়া হয় দুর্গতদের।
মঙ্গলবার রাত থেকে টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও বুধবার দুপুর থেকে পাঁচ ঘণ্টা ভারী বর্ষণে জল জমে যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সাধনপুর, বাজেপ্রতাপপুর, হাটু দেওয়ান, বিজয়রাম, দেওয়ানদিঘির একাংশ ছাড়াও জলমগ্ন হয়েছে বর্ধমান ১ ব্লকের সরাইটিকর পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা।
সাধনপুরের বাসিন্দা মহম্মদ হানিফের অভিযোগ, “প্রতি বছরই আমাদের জলবন্দি হয়ে পড়তে হয়। কেন এ ভাবে জল জমে জানি না। প্রশাসনের এ নিয়ে কোনও হেলদোল দেখি না। ফলে, মানুষকে ঘরছাড়া হতে হয়। শিশুদের স্কুল যাওয়াও বন্ধ করে দিতে হয়।” বাজেপ্রতাপপুরের বধূ রীতা করের বক্তব্য, “এই এলাকার বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথের কাছের বস্তিতে জল নিকাশের কোনও ব্যবস্থাই গড়ে ওঠেনি। অথচ, এই এলাকায় রেলপথের সংস্কার করে ব্রডগেজ হয়েছে।” ফলে, জল জমলেই বিশাল এলাকায় বৃষ্টির জল জমে যাচ্ছে সেখানে।
বর্ধমান শহর লাগোয়া সাধনপুরে বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ধমান শহরের আশপাশে ইদিলপুর ও কানাই নাটশালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপা হয়েছে। তা ছিল গড়ে ৪৯ মিলিমিটার। গত বছর জুন থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাত ছিল ৪৪৪ মিলিমিটার। এ বছর ওই সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০৮ মিলিমিটার। অর্থাৎ, এই বার ১৩৬ মিলিমিটার কম বৃষ্টি হয়েছে।
বর্ধমান (উত্তর) মহকুমাশাসকের দফতরের কয়েক জন আধিকারিক ও বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন জলমগ্ন এলাকায় যান। পরে বর্ধমান থানা ও নাগরিক কমিটি খাবার বিলি করে। আইসি দিলীপবাবু বলেন, “জল জমে যাওয়া ও বাড়িতে বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ায় প্রায় পাঁচশো পরিবার সমস্যায় পড়েছেন। আমরা তাঁদের জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেছি। দরকার হলে আরও খাবার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছি।”
বর্ধমান শহর বা শহর লাগোয়া এলাকায় জল জমে সমস্যা সৃষ্টি করলেও এই বৃষ্টি খরিফ ধান চাষে সহায়ক হবে বলে কৃষি দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে। দফতর সূত্রে খবর জেলায় এ বার প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর আমন ধানের চাষ হবার কথা ছিল। অগস্টের গোড়ায় তার মাত্র অর্ধেক হয়েছিল। মঙ্গল ও বুধবারের বৃষ্টিতে আরও প্রায় ৫০ হাজার হেক্টরে নতুন করে ধানের চাষ হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে খবর।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.