টুকরো খবর
দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
একই দিনে দু’টি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। মৃতের নাম সৌম্যদীপ মিত্র ওরফে বাপ্পা (২৫)। তিনি বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা। পেশায় সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ার। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকায়। মৃতার নাম সুপ্রিয়া মণ্ডল (৩৫)। স্থানীয় ডিপিএস রোডের একটি বহুতলের বাসিন্দা সুপ্রিয়াদেবীকে তাঁর নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে ওই দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ঘটনাতেই কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি, জয়িতার মা কমিশনে
আদালতের পরোয়ানা ছাড়াই বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন মাওবাদী সন্দেহে ধৃত জয়িতা দাসের মা সরস্বতীদেবী। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার কমিশনে যান সরস্বতীদেবী এবং জয়িতার বাবা শিশির দাস। তাঁদের অভিযোগ, ২ অগস্ট বেলা ১টা নাগাদ রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে জয়িতাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। কিন্তু তখন জয়িতাকে গ্রেফতারের খবর তাঁদের জানায়নি তারা। মেয়ের গ্রেফতারের খবর তাঁরা পরে টিভি থেকে জানতে পারেন। পুলিশি হেফাজতে জয়িতা যাতে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পান এবং তাঁর উপরে যাতে নির্যাতন না-হয়, তা দেখার জন্যও কমিশনের কাছে আর্জি জানান ওই দম্পতি। আজ, বুধবার কমিশনের ফুল বেঞ্চ তাঁদের আবেদন নিয়ে আলোচনা করে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেবে বলে জানান কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত।

পুরনো খবর:
একটি মামলায় জামিন সুদীপ্তের
লেক এলাকার একটি প্রতারণার মামলায় সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে মঙ্গলবার জামিন দিয়েছে আলিপুর আদালত। ওই মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন অন্য অভিযুক্ত, সারদার ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়। তবে অন্যান্য মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পাননি। পুলিশ জানায়, রিনা ভুঁইয়া নামে এক আমানতকারী লেক থানায় অভিযোগ করেন, তিনি সারদার ঢাকুরিয়া শাখায় চার লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। বেশ কয়েক বার সুদের টাকাও পেয়েছেন। কিন্তু গত এপ্রিলে তিনি দেখেন, সারদার ওই অফিস বন্ধ। তার পরেই ওই আমানতকারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পুরনো খবর:
ফিরতে নারাজ বাংলাদেশি
বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের অপরাধে ১১০ দিন জেল হয় সুখরঞ্জন বালির। জুলাইয়ে শাস্তির মেয়াদ শেষ হলেও দমদম জেলেই আছেন তিনি। তাঁকে বাংলাদেশে ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনি ফিরতে চান না। ভারতে আশ্রয় চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বলেন, বাংলাদেশে ফিরলে তাঁর প্রাণসংশয় হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি হত্যা মামলায় রাজসাক্ষী ছিলেন তিনি। পরবর্তী কালে তাঁকে বিরূপ সাক্ষী ঘোষণা করা হয়। কিছু দিন আটকে রেখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ভারতে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০ অগস্ট পর্যন্ত আবেদনকারীকে ফেরত পাঠানো যাবে না। এর মধ্যে কেন্দ্র তাঁর আবেদন বিবেচনা করবে। তার ভিত্তিতে যে-সিদ্ধান্ত হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

বাস পুড়ে ছাই
বাইপাসে মেট্রোপলিটন স্টপের কাছে মঙ্গলবার রাতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি সরকারি বাস। হতাহতের খবর নেই। পুলিশ জানায়, ১৫-২০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি যাদবপুর থেকে সল্টলেকের করুণাময়ীর দিকে যাচ্ছিল। ওই স্টপের কিছু আগে চালক দেখেন, হেডলাইটের কাছ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তিনি বাস থামিয়ে দেন। যাত্রীরাও নেমে পড়েন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সারা বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাইপাসের একটি লেন বন্ধ করে দেওয়ায় যানজট হয়। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল বলে দমকলকর্মীদের অনুমান।

পুলিশ সাসপেন্ড
গাড়ি পরীক্ষা কিংবা শহরে পারমিটহীন গাড়ি প্রবেশের ব্যবস্থা করার নামে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পুলিশেরই ট্রাফিক দফতরের। ওই দফতরের খবর, পারমিটহীন বাস, লরি ও অন্য কিছু গাড়ি শহরে অবৈধ ভাবে যাতায়াত করছে। গাড়ি পরীক্ষার নামে টাকা তোলা হচ্ছে। তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ আদক জানান, ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। রিজার্ভ ফোর্স সূত্রের খবর, রমাপদ সরকার নামে ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.