বাসস্ট্যান্ড থেকে এমএ ক্লাসের এক ছাত্রীকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনার পরে আট দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা না-পড়ায় মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানালেন নিগৃহীতা ছাত্রী। ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে আটকে রেখে তাঁর উপরে অত্যাচার চালান রবীন্দ্রভারতীরই কয়েক জন পড়ুয়া। তাঁর উপরে কী ভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে, বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়ে তা জানিয়েও এসেছেন ছাত্রীটি।
কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের কাছে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ছাত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, শারীরিক অত্যাচারের কারণে তিনি কয়েকটি পত্রের পরীক্ষাও দিতে পারছেন না। লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানান, মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্রনেতা বিশ্বজিৎ দে ওরফে বাপ্পা-সহ সাত জন পড়ুয়া। পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বাপ্পা এবং তাঁর তিন সঙ্গী এখনও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না। এফআইআরে অপহরণ, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া, খুনের চেষ্টার ধারাগুলি পুলিশ ইচ্ছা করে বাদ দিয়েছে বলেও কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।
কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দাদেবী জানান, মেয়েটির উপরে শারীরিক অত্যাচার হয়েছে। ছাত্রীটি পরীক্ষাও দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। সুনন্দাদেবী বলেন, “আমি কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ)-র কাছ থেকে বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও অনুরোধ জানাচ্ছি, ছাত্রীটি যে-সব পরীক্ষা দিতে পারেননি, সেগুলি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে নিরাপত্তাও বাড়াতে বলছি উপাচার্যকে।”
কমিশনে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরে নিগৃহীতা ছাত্রী বলেন, “আমি চেয়ারপার্সনকে অত্যাচারের কথা বলেছি। অনুরোধ জানিয়েছি, কমিশন যেন তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়। উনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।”
|