রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী-নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। বিশ্ববিদ্যলয়ও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে নিগৃহীতার অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষও অবশেষে তদন্ত শুরু করেছেন।
রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী এ দিন বলেন, ছাত্রীটির অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক নিগ্রহমূলক আচরণ প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। সেলের সদস্যেরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপাচার্যের কথায়, “এই ধরনের অভিযোগ খুবই অস্বস্তিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজের উপরেও এর প্রভাব পড়ে।”
২৯ জুলাই এমএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে বাসস্ট্যান্ড থেকে তুলে রবীন্দ্রভারতীরই একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ করার পরেও মূল অভিযুক্ত এবং তাঁর তিন সঙ্গী ধরা না-পড়ায় ছাত্রীটি আতঙ্কিত। ফের হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা না-দিয়েই তিনি বাড়ি চলে যান। রবীন্দ্রভারতীরই এক সূত্রের অভিযোগ, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিশ্বজিৎ দে ওরফে বাপ্পা অন্য তিন অভিযুক্তকে নিয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়েরই অতিথিশালায় ছিলেন। শনিবার রাতে এফআইআরে নাম থাকা অন্য তিন অভিযুক্ত ধরার পড়ার পরে রবিবার সকালেই বাপ্পা তিন সঙ্গীকে নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। তবে উপাচার্যের দাবি, ঘটনার পর থেকে বাপ্পা ও অন্য অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। নিগৃহীতা ছাত্রীটি এ দিন বলেন, “বাপ্পা এবং তার সঙ্গীরা ধরা না-পড়া পর্যন্ত আমি নিশ্চিত হতে পারছি না।”
|