নতুন ও অপেশাদার দুষ্কৃতীরাই বড়িশা পূর্বপাড়ায় সোনার দোকানে ডাকাতি করেছে বলে অনুমান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের। সোমবার রাতে ওই দোকানে ডাকাতি হয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ অবশ্য কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া একটি ব্যাগের সূত্র ধরে তদন্ত এগোনোর চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মালিক যে দোকানে একা থাকেন, সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল।
গোয়েন্দারা জানান, দোকান মালিক তপন কর্মকার তাঁর কর্মী দীপায়ন মুখোপাধ্যায়কে প্রায় প্রতিদিনই রাত আটটার পরে টাকা জমা দিতে এক জায়গায় পাঠাতেন। সোমবারও রাত সওয়া ৮টা নাগাদ দীপায়নকে টাকা জমা দিতে পাঠান তপনবাবু। সাড়ে ৮টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা দোকানে হানা দিয়েছিল বলে পুলিশ জানায়। ওই দোকানের সিসিটিভি যে গত সাত মাস ধরে খারাপ, তা-ও জানা ছিল দুষ্কৃতীদের। দোকানের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
|
কী কারণে গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, দুষ্কৃতীরা অপেশাদার? লালবাজারের এক কর্তা জানান, দুষ্কৃতীরা পেশাদার হলে পালানোর সময়ে ঘাবড়ে গিয়ে গুলি চালাত না। পেশাদার ডাকাতদের হাতে রিভলভার বা পিস্তল থাকে ভয় দেখানোর জন্য। ডাকাতির পরে দুই দুষ্কৃতী মোটরসাইকেলে চেপে পালাতে পারলেও বাকি দুই দুষ্কৃতী এলাকা ছাড়ার জন্য যে ভাবে দৌড়চ্ছিল, তাতে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তারা আনাড়ি। গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, যারা দৌড়চ্ছিল তারা কীসে চেপে ডাকাতি করতে এসেছিল।
ডাকাতির পরে পালানোর জন্য দুই দুষ্কৃতী রাজা মালি নামে স্থানীয় এক যুবকের মোটরবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। রাজা বাধা দিলে এক দুষ্কৃতী তাঁকে ও শৌর্য ঘোষ নামে অন্য এক যুবককে লক্ষ্য করে নাইন এম এম পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ে। মোটরবাইক কাড়ার পরে দুষ্কৃতীরা গাড়ি স্টার্ট করতে না পেরে ফের দৌড়ে পালায়। যে দুই দুষ্কৃতী দৌড়ে পালায়, তারা দোকানের বাইরে পাহারা দিচ্ছিল বলে পুলিশের অনুমান। এ দিকে, হাসপাতালে ভর্তি রাজার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোয়েন্দাদের আরও অনুমান, দুষ্কৃতীরা এলাকার নয়। তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) সুব্রত মিত্র মঙ্গলবার বলেন, “দোকান মালিক এবং আহত যুবকদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকানো হচ্ছে।”
|