ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন বারাসতের বাসিন্দা মৃত প্রদীপ ঝা-এর মা জগত্তারিণীদেবী। মঙ্গলবার তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির নামে অভিযোগ করেননি। তদন্তকারীরা অবশ্য জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না আসায় প্রদীপের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি।
৩ অগস্ট ভোরে স্ট্র্যান্ড রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনের ফুটপাথ থেকে বিয়াল্লিশ বছরের প্রদীপের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রদীপের পায়ে মোজা থাকলেও জুতো ছিল না। তাঁর ডান হাতের একটি আঙুলে সোনার আংটি ছিল বলে পরিবার দাবি করলেও সেটির হদিস মেলেনি। পাওয়া যায়নি তাঁর দু’টি মোবাইলও। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “জুতো, আংটি ও মোবাইল কোথায় গেল, জানা যায়নি।”
|
পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে আসছেন জগত্তারিণীদেবী। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র |
মঙ্গলবার সকালে প্রদীপবাবুর জ্যাঠতুতো ও মাসতুতো দুই ভাই এবং জামাইবাবুর সঙ্গে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান জগত্তারিণীদেবী। পরে থানার বাইরে এসে তিনি বলেন, “ছেলে শারীরিক ভাবে সুস্থই ছিল। কী ভাবে ওর মৃত্যু হল, কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা জানার জন্য যাতে তদন্ত হয়, তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালাম।”
জগত্তারিণীদেবী তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ২ অগস্ট সকালে প্রদীপ তাঁর পরিচিত যুবক বনমালীপুরের বাসিন্দা জয়দেব বসুর সঙ্গে কলকাতায় যান। রাত ৮টা ৫৫মিনিট নাগাদ ফোনে মাকে জানিয়েছিলেন এলাকায় মিটিং আছে তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসছেন। কিন্তু এর পরে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রাতেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে
স্ট্র্যান্ড রোড থেকে পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ দিন প্রদীপের জ্যাঠতুতো ভাই সন্দীপ ঝা বলেন, “দাদার জুতো, আংটি, মোবাইল কোথায় গেল বুঝতে পারছি না। শরীর খারাপ হয়ে মৃত্যু হলে তো এ সব তাঁর সঙ্গেই থাকার কথা। ওঁর ডান চোখের নীচে আঘাতের চিহ্নও ছিল। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।” কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “প্রদীপের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন মিলে রাহাজানি করতে গিয়ে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
|