হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে রাজ্য সরকারের অংশীদারি কিনতে জোট বাঁধতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সে ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান অয়েলের (আইওসি) নেতৃত্বে তৈরি কনসোর্টিয়ামে যোগ দেবে ওএনজিসি এবং গেইল। তবে নিলাম প্রক্রিয়ার মধ্যে কী ভাবে তা হবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
পেট্রোকেমে প্রথম থেকেই ৮.৮৯% শেয়ার রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত আইওসি-র। এ বার রাজ্যের অংশীদারি কেনার জন্য নিলামে দর দিতে তার নেতৃত্বেই জোটে সামিল হতে পারে বাকি ২ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা।
মঙ্গলবার রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের দফতরে পেট্রোকেম কিনতে আগ্রহী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এইচপিএলের চেয়ারম্যান তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরিচালনা করে পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েট। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির প্রতিনিধি ছাড়াও হাজির ছিলেন দুই আগ্রহী বেসরকারি সংস্থা কেয়ার্ন ও রিলায়্যান্স কর্তারা।
৩১ অগস্টের মধ্যে দরপত্র দিতে হবে। পার্থবাবু এ দিনও ফের জানান, যত শীঘ্র সম্ভব পেট্রোকেমে নিজেদের শেয়ার হস্তান্তর করতে চায় রাজ্য। তিনি বলেন, “সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা করেছে ডেলয়েট, নিগম। তার রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে আগ্রহী প্রতিটি সংস্থাকে। এ সম্পর্কে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতেই এ দিনের বৈঠক।”দরপত্র জমার আগে পেট্রোকেমের সার্বিক হাল খতিয়ে দেখবে সংস্থাগুলি। এ জন্য পেট্রোকেম বা নিগমের দফতরেই তথ্য-কেন্দ্র তৈরি হওয়ার কথা। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সেখান থেকে একই তথ্য একই সময়ে ইচ্ছুক সংস্থাকে দেখতে দেওয়া হবে। পেট্রোকেমের পরিস্থিতি যাচাই করতে ইতিমধ্যে ৫ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছে আইওসি। হলদিয়া ঘুরে গিয়েছেন রিলায়্যান্স ও কেয়ার্নের প্রতিনিধিরাও।
রাজ্যের দাবি, পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছে নিলাম প্রক্রিয়া। কিন্তু মালিকানা নিয়ে রাজ্য ও চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর বিরোধ তার পথে বাধা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুরনো অবস্থানে অনড় থেকেই চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর দাবি, রাজ্য যে ৬৭.৫০ কোটি শেয়ার বিক্রি করতে চায়, তার মধ্যে ১৫.৫০ কোটি তাদেরই। নিলামের বিরোধিতা করে পাবলিক নোটিসও জারি করেছে চ্যাটার্জি পেট্রোকেম (মরিশাস) ও চ্যাটার্জি পেট্রোকেম (ইন্ডিয়া)।
|