শিল্পের জন্য আর সমস্যা হবে না জমি। তা ছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে যথেষ্ট জমি রয়েছে। তাই যদিও বা সমস্যা হয়, তা মিটিয়ে ফেলতে পারবে সরকার। বণিকসভা সি আই আই-এর মঞ্চ থেকে বিনিয়োগকারীদের এই আশ্বাস দিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সি আই আই-এর বার্ষিক অনুষ্ঠান আই সি টি ইস্ট-এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেনাপতি গোপালকৃষ্ণন (যিনি কৃষ নামে শিল্পমহলে পরিচিত), মাইক্রোসফট-এর কর্তা ভাস্কর প্রামাণিক-সহ অন্য শিল্পকর্তারা। প্রসঙ্গত সোমবারই সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি নিয়ে সমস্যার কথা বলেছিলেন গোপালকৃষ্ণন। সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন শিল্পের জন্য জমি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর সেই বাধা কাটাতে রাজ্যের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন, তা জানাতেও দ্বিধা করেননি তিনি। |
গোপালকৃষ্ণনের বক্তব্যের উত্তর দিতে এ দিন অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয়ের বাইরে হাঁটলেন পার্থবাবু। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সংক্রান্ত অনুষ্ঠান আই সি টি ইস্ট-এ শুধুমাত্র রাজ্যের বিনিয়োগ পরিস্থিতির পক্ষে সওয়াল করেই মঞ্চ ছাড়েননি তিনি। জমি নিয়ে শিল্পমহলের শঙ্কা দূর করতে তিনি স্পষ্ট জানান, জমি সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, “জমির সমস্যা হলে আমাদের কাছে আসুন। সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের হাতে অনেক জমি রয়েছে। জমির জন্য বিনিয়োগ আটকাবে না।” এ মাসের পয়লা তারিখে মুম্বইয়ে শিল্পমহলের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও জমি নিয়ে রাজ্যের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্যার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যের কাছে ১০ হাজার একর জমি রয়েছে। তাই প্রকল্পের প্রস্তাব এলে জমি বাধা হবে না বলে তিনিও আশ্বাস দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সি আই আই-এর অনুষ্ঠান শেষে গোপালকৃষ্ণন ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। রাজারহাটে ইনফোসিসের প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা সেজ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানের জটে এখনও এই প্রকল্প আটকে রয়েছে। সেজ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান বদলায়নি। ইনফোসিসও সেজ তকমা ছাড়া প্রকল্প শুরু করতে রাজি নয়। এ দিনের বৈঠকে রাজ্য বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। তবে পার্থবাবু জানান এ রাজ্যে ইনফোসিসের বিনিয়োগের সম্ভাবনা এখনও উজ্জ্বল।
এই মুহূর্তে বিনিয়োগের কোনও প্রস্তাব জমির জন্য আটকে থাকছে না বলে দাবি করেছেন পার্থবাবু। রিলায়্যান্স সিমেন্ট ও ইমামি গোষ্ঠীর সিমেন্ট প্রকল্প দু’টির জমি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। জিন্দলদের শালবনি প্রকল্প নিয়ে নয়া প্রস্তাব এসেছে। আপাতত বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েই কাজ শুরু করতে চায় তারা।
|
