শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমারকে দিনভর জেরা করল পুলিশ। শনিবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এসজেডিএ-র প্রাক্তন ওই আধিকারিক বর্তমানে মালদহের জেলাশাসক। আগাম চিঠি দিয়ে তাঁকে এ দিন ডেকেছিল পুলিশ। দিনভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী দলের পুলিশ আধিকারিকেরা। এর আগেও মালদহে গিয়ে ওই আধিকারিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
এ দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা এম এস কোম্পানিজের কর্ণধার সুব্রত দত্ত। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নিদের্শ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে শনিবার তাঁকে ৪ দিন পুলিশে হেফাজতে রাখার আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশেরই সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনের উপস্থিতিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। ফোন ধরেননি গোদালা কিরণ কুমার। তবে এই মামলার গোড়া থেকেই তাঁর একটাই বক্তব্য, “বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলব না।”
পুলিশ এবং এসজেডিএ সূত্রের খবর, মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি প্রকল্প এবং তিনটি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর কাজে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসজেডিএ’র তরফে প্রধাননগর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ওই কাজে ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরো নামে এক সংস্থাকে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে জাল নথি তৈরির মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দেওয়া নিয়েও পরে অভিযোগ করা হয়।
পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে শিলিগুড়ি শহরে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ করে বসানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা নিয়েও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ওঠে। নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি বরাত পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। সম্প্রতি পুলিশের তরফে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের কাছে সেগুলি কোথায় কী রয়েছে যথাযথ বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। তদন্তের মাঝ পথেই এর পর গভীর রাতে ঠিকাদার সংস্থার তরফে সেগুলি বদলে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। |