১৬ আসনের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল হয়েছিল। এ বার তালা ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ‘দখল’ করল কংগ্রেস। শনিবার সকালে ডুয়ার্সের শামুকতলা বাজারের তৃণমূল পার্টি অফিসে দলের পতাকা লাগিয়ে দলের কার্যালয়ের কাজ শুরু করল কংগ্রেস। প্রায় তিন দশক ধরে শামুকতলা বাজারে পার্টি অফিসটি রয়েছে। প্রথমে কাঠের ঘর থাকলেও, পরবর্তী কালে পাকা বাড়ি হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদলের মতোই শামুকতলার পার্টি অফিসটির ‘মালিকানাও’ বদলে যায়।
বিধানসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূলের জয়ের পরে শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান-সহ এলাকার প্রভাবশালী নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সে সময়েই পার্টি অফিসটির দখল নেয় তৃণমূল। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কয়েকশো কংগ্রেস সমর্থক পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হয়। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তৃণমূলের পতাকা, ব্যানার থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি নামিয়ে কংগ্রেসের পতাকা, রাজীব-সোনিয়া গাঁধীর ছবি লাগিয়ে দেন কংগ্রেস কর্মীরা। এই ঘটনায় সকাল থেকেই শামুকতলা বাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তৃণমূলের অভিযোগ, পার্টি অফিসের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মূল্যবান নথি থেকে শুরু করে চাঁদা বাবদ থাকা টাকা পয়সাও লুঠ করেছে কংগ্রেস কর্মীরা। যদিও তৃণমূলের তরফে শনিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত অভিযোগ জানানো হয়নি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাহাবিয়াম কিস্কু বলেন, “কংগ্রেসে থাকার সময়ে আমরা নিজেরাই টাকা দিয়ে ওই পার্টি অফিস বানিয়েছিলাম। বিধানসভা নির্বাচনের পর উন্নয়নের স্বার্থে আমরা পুরো গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেই।
স্বাভাবিক ভাবে পার্টি অফিসও তৃণমূলের পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। এ দিন কংগ্রেসের কর্মীরা তালা ভেঙে আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে। দলীয় স্তরে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “কংগ্রেসের পার্টি অফিস শামুকতলার জনগণ পুনরুদ্ধার করেছেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।” শামুকতলার কংগ্রেস নেতা রাজা চক্রবর্তী বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ায় পার্টি অফিসটিরও দখল নেওয়া হয়েছে।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের অফিস ওরা এভাবে দখল নিতে পারে না। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |