১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের জেরে দেশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-দের তালিকায় তাঁর নাম ওঠার আগে থেকেই ক্রিকেট বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বইয়ের বেটিং বাজারও নাকি তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন। দাউদের বিরুদ্ধে নতুন এবং চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল দিল্লি পুলিশ। আইপিএলে গড়াপেটা সংক্রান্ত তদন্তে তাদের চার্জশিটে আরও লেখা আছে যে, দাউদ পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর কর্মীরাই বেটিং সিন্ডিকেট চালাত।
এর মধ্যেই আবার শ্রীনিবাসনকে টুইটারে আক্রমণ জারি রাখলেন ললিত মোদী। প্রাক্তন আইপিএল কমিশনারের নতুন ইঙ্গিত, ডেকান চার্জার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন মালিক সান টিভির কর্তারা নাকি শ্রীনির সৌজন্যে এ বছর অনেক বেশি টাকা লাভ করেছেন। মোদীর ইঙ্গিত, ডেকানের পুরনো মালিককে সরিয়ে সান টিভিকে হায়দরাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি পাইয়ে দেওয়ার পিছনে শ্রীনিবাসনের ভূমিকা রয়েছে। |
দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে এ দিকে লেখা আছে, ‘দাউদের ঘনিষ্ঠ সেনাপতি ছোটা শাকিলের এক কর্মী মীর জাহিদ ওরফে ছোটে মিয়াঁ একটা ক্লাব চালাত। মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকার ওই ক্লাবের নাম ভারত সোশ্যাল গ্রুপ। ১৯৯৩-এ দাউদ আর শাকিল ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ওই ক্লাবেই বেটিংয়ের দর ঠিক হত।’ স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে গ্রেফতার ফিরোজ ফরিদ আনসারির কাছ থেকে পুলিশ এই তথ্য পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, আনসারিই নাকি মুম্বই থেকে দাউদের বেটিং চক্র সামলাতেন। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, টিঙ্কু মান্ডি এবং ব্যাস নামক দুই বুকি উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতে দাউদের সিন্ডিকেট চালাতেন।
এ দিকে, ক্রিকেট দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে দিলেন স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে অভিযুক্ত পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রউফ। আইপিএল স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে তাঁর নাম ওঠার পর আইসিসি-র এলিট প্যানেল থেকে বাদ পড়া আম্পায়ার একটি পাক ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন, সব ধরনের ক্রিকেটে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নিচ্ছেন। অসুস্থ ছেলে এবং পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে চান। প্রসঙ্গত, ৪৮ টেস্ট, ৯৮ ওয়ান ডে এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি খেলানো আম্পায়ারকে সম্প্রতি করাচির স্থানীয় কর্পোরেট টুর্নামেন্টেও দায়িত্ব দেয়নি পাকিস্তান বোর্ড। ফলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে রউফের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সত্যি বলে পাকিস্তানেই সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। তার উপর এর আগে ভারতীয় মডেল লিনা কপূর তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনায় রউফের অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে যায়।
|