শুধু কেভিন পিটারসেনের সেঞ্চুরিতেই আলোর রেখা। ইংল্যান্ডের বাকিটুকু পুরো অন্ধকারে। সেখানে আগের দুই টেস্টে পাওয়া জয়ের রেশ ছিটেফোঁটাও নেই। তবে শনিবারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হারের আশঙ্কা ভুলে প্রিয় তারকার সাফল্য নিয়েই হইচই বেশি।
অস্ট্রেলিয়ার ৫২৭ রানের পাহাড়ে চড়তে গেলে যে ব্যাটিং দরকার ছিল, কেপি ছাড়া ইংল্যান্ডের অন্য ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে তা অমিল। খেলার পর কেপি বলছিলেন, “উইকেটটা ব্যাট করার পক্ষে ভাল। বেশ লাগছিল ব্যাট করতে।” তা হলে দিনের শেষে ইংল্যান্ড ২৯৪-৭ কেন?
মিচেল স্টার্কের বল কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি পার করিয়ে দিয়ে যখন টেস্টের ২৩ নম্বর সেঞ্চুরি পূর্ণ করার আগেই কেপি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক রানের মালিকের আসনে বসে পড়েছেন। ১৩,১৯০ রান নিয়ে সেই আসনে এতদিন ছিলেন গ্রাহাম গুচ। এই বছর এটাই কেপি-র প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এবং সুপারহিট। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একের পর এক পোস্ট ইংরেজ ক্রিকেটের সুপারস্টারকে নিয়েই। তবু তাঁর আফসোস, “দল ভাল কিছু করতে না পারলে আর এই সেঞ্চুরির দাম থাকবে?” |
গুমোট আবহাওয়ার মাঝে এক পশলা বৃষ্টির মতো আসা এই সেঞ্চুরিতেও অবশ্য ইংল্যান্ডের আকাশে থাকা কালো মেঘ কাটল না। কেপির ২৩তম টেস্ট সেঞ্চুরির সময় ইংল্যান্ড যে তখনও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আড়াইশোরও বেশি রানে পিছিয়ে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের উল্লাস শুনে কে বুঝবে সে কথা? ব্যক্তিগত ৬২-র মাথায় এক বার কেপি-র বিরুদ্ধে বেশ জোরালো আবেদন করেছিলেন ওয়াটসন। আম্পায়ার নাকচ করে দেওয়ার পর ওয়াটসন ক্লার্ককে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটার রিভিউ চাওয়া উচিত। কিন্তু ডিআরএস ব্যবহারে তুমুল ব্যর্থ অজি অধিনায়ক ঝুঁকি নেননি। ঘটনাটা ঘটলে টেস্টের ছবিটাও হয়তো অন্য রকম হত।
৫২৭-৭-এ অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ছাড়ার পর ইংল্যান্ড মাত্র ৬৪ রানের মধ্যে রুট (৮), ব্রেসনান(১), ট্রটকে (৫) হারিয়ে প্রায় দিশাহারা, তখনই হাল ধরেন কুক (৬২) ও বেল (৬০)। কেপি-র সঙ্গে প্রথমে ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করে কুক ফিরে যান। দিনের নায়কের সঙ্গে এর পরে স্কোরবোর্ডে ১১৫ জুড়লেন বেল। বেয়ারস্টোকে নিয়ে পিটারসেনের লড়াই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ৫২-র পার্টনাপরশিপের পরেই। যাঁর বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছিলেন কেপি, সেই স্টার্ক যখন তাঁকে এলবিডব্লু-র ফাঁদে ফেললেন, তখন ইংরেজরা ২৮০-তে। এর পর প্রায়র আর ব্রড মিলে ১০ ওভারে ১৪ রান জুড়লেন মাত্র।
|