টুকরো খবর |
উত্তর-পূর্বে ছড়িয়ে ১৩০ ভাষা-উপভাষা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
উত্তর-পূর্বের পাঁচটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে ১৩০ রকম ভাষা। তার মধ্যে ‘সিমাল’ ভাষায় কথা বলেন মাত্র ৪ জন। ‘কোরবং’-এর ক্ষেত্রে ওই সংখ্যা ৩০০। সম্প্রতি এক ‘ভাষা সমীক্ষা’য় মিলেছে এমনই তথ্য। দিল্লির ‘পিপল্স লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’র (পিএলএসআই) চেয়ারপার্সন জি এন ডেভি জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর ধরে উত্তর-পূর্বের অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে সমীক্ষা করা হয়। তাতে সংগৃহীত তথ্যগুলি সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে প্রকাশ করা হবে। পিএলএসআই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সমীক্ষক এবং গবেষকেরা প্রতিটি ভাষাকে আলাদা করে চিহ্নিত, নথিভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। বর্তমান ভাষাগোষ্ঠীগুলি যে ভাবে ভাষাগুলির ব্যবহার করে, বলে বা লেখে---তার ভিত্তিতেই ভাষার ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করা হয়েছে। ডেভি জানান, যাযাবর, মৎস্যজীবি অথবা অরণ্যবাসীদের ক্ষেত্রে কয়েকটি ভাষার মিশ্রণ থেকে অকৃত্রিম ভাষাটিকে খুঁজে বের করা হয়। সমীক্ষার অন্যতম গবেষক ইসথার সিয়েম জানান, অসমে ৫৫টি প্রচলিত এবং তিনটি সংযোগরক্ষাকারী ভাষার সন্ধান মিলেছে। মেঘালয়ে ২২ রকমের ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে খাসি ও গারো ভাষায় ৯টি পৃথক ধরণ ও ভাষারীতি রয়েছে। এক প্রকারের গারো ভাষাভাষীরা অন্য গারো ভাষা বুঝতে পারেন না।
|
বিস্ফোরণে আহতের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পল্টনবাজারের বিস্ফোরণে জখম রাজীব পাল (২৩) হাসপাতালে মারা গেলেন। গত রবিবার গুয়াহাটির পল্টনবাজার এলাকায়, থানার সামনেই গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ১৪ জন জখম হন। এদের মধ্যে রাজীব পাল, গৌতম দে ও হোমগার্ড হাসিম আলির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের সুপার রমেন তালুকদার জানান, রাজীবের শরীরে সবচেয়ে বেশি স্প্লিন্টারের আঘাত ছিল। তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন ছিল ‘নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্ত। এ কথা জানার পরে, ৯ জন স্বেচ্ছাসেবী হাসপাতালে এসে রক্তও দিয়ে যান। কিন্তু তারপরেও রাজীবকে বাঁচানো গেল না। গত কাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ তাঁর দেহ নগাঁও জেলার হোজাইতে পৌঁছয়। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, রাজীব শিলিগুড়িতে একটি মোবাইল সংস্থায় ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে গুয়াহাটি আসেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায়ও নেয়নি। তবে ঘটনার পরে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নতুন সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
|
নিখোঁজের খোঁজ মেলেনি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
সস্ত্রীক বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে নিখোঁজ মালদহের সাগ্নিক পালের খোঁজ এখনও মেলেনি। তাঁর পরিবারের লোক ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছেন। মালদহের জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, ৩১ জুলাই ভোর ৩-১০ মিনিট নাগাদ নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অন্ধ্রের নেলোরের আলুরু নামে এক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। তার পরে মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পরেও সাগ্নিকের খোঁজ না মেলায় মালদহের মহেশমাটিতে সাগ্নিক পালের বাড়িতে, কৃষ্ণপল্লিতে তাঁর স্ত্রী শ্বেতা সরকারের পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন। শাশুড়ি সোমা সরকার বলেন, “দুই পরিবারের লোক কর্নাটকে রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের কথা বলা হয়েছে। কী করব বুঝতে পারছি না।” সাগ্নিকবাবুর শ্বশুরমশাই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে জানান, বিজয়ওয়ারার কাছে সাগ্নিকের মতো এক যুবকের হদিস পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা ওই এলাকায় যাচ্ছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় মালদহ টাউন স্টেশন থেকে বেঙ্গালুরুতে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরুতে এক্সপ্রেস ট্রেনে এঠেন সস্ত্রীক সাগ্নিক। স্ত্রী শ্বেতাদেবী জানান, মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজওয়ারা ও তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের মাঝখানে স্বামী নিখোঁজ হন। সকালে চেন্নাই স্টেশনে বিষয়টি নজরে আসে।
পুরনো খবর: চলন্ত ট্রেন থেকে নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ার
|
বনধ ভোগান্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি এবং কোচ রাজবংশীদের তফসিলি জাতিতে অর্ন্তভুক্ত করার দাবিতে সারা অসম কোচ রাজবংশী ছাত্র সংস্থা (আক্রাসু)-র ডাকা, ২৪ ঘন্টা কামতাপুর বনধ-র জেরে ধুবুরি ও কোকরাঝাড় জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হল জনজীবন। বৃহস্পতিবার সকাল ৫ টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে বনধ। এদিন সকালে ভাওরাগুরি বাজারের কাছে গাড়িতে আগুন ধরায় বনধ সমর্থনকারীরা।
|
৪৫টি নৌকা আটক সীমান্তে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চোরাচালানে ব্যবহৃত ৪৫টি নৌকা আটক করল বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে আজ জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিল জেলার গুমাঘাট সীমান্ত বরাবর দুষ্কৃতীরা চোরাচালান চালাচ্ছে খবর পেয়ে, ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বিশেষ অভিযান চালায়। তখনই ৪৫টি নৌকা ও ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা আটক করা হয়। চোরাচালানকারীরা পালায়। বিএসএফ-এর দাবি, যাদুকাট্টা নদী পার হয়ে ভারতের মাটিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে চোরাচালান চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। গত তিন মাসে এমন ১৫৯টি নৌকা আটক করা হয়েছে।
|
আছড়ে পড়ল ট্যাঙ্কার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
উড়ালপুল থেকে মুখ থুবড়ে নীচে আছড়ে পড়ল জলের ট্যাঙ্কার। ঘটনায় চালকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তাঁর সহকারী। পুলিশ জানায়, গত কাল রাত ১১টা নাগাদ গুয়াহাটির বি বরুয়া রোডের উড়ালপুলের রেলিং ভেঙে নীচে পড়ে আছড়ে পড়ে ট্যাঙ্কারটি। ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ক্রেনের সাহায্যে ট্যাঙ্কারটি সরিয়ে চালকের দেহ উদ্ধার করে। সহকারী ভর্তি হাসপাতালে।
|
মুলায়ম-রাজা ভাইয়া সাক্ষাৎ |
ডিএসপি জিয়া-উল হক হত্যাকাণ্ড মামলায় ক্লিনচিট পাওয়ার পর শুক্রবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজা ভাইয়া দেখা করলেন মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে। সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদবের বাড়িতে ৩০ মিনিট ধরে চলে তাঁদের বৈঠক। বৃহস্পতিবার সিবিআই লখনউয়ের আদালতে এই মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে। সিবিআই জানিয়েছে, রাজা ভাইয়ার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। লাই ডিটেক্টর টেস্টেও তিনি উতরে গিয়েছেন। ২ মার্চ উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কুন্দা গ্রামে খুন হন জিয়া-উল হক। ওই ঘটনায় রাজা ভাইয়ার হাত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জিয়া-উল হকের স্ত্রী পরভিন আজাদ।
|
চাকরি পেলেন সর্বজিৎ-কন্যা |
সর্বজিৎ সিংহের মেয়ে স্বপ্নদীপ কৌরকে ‘নায়েব তহসিলদার’ পদে নিয়োগ করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড হয় সর্বজিতের। ২০১৩-র এপ্রিলে লাহৌরের কোট লাখপত জেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি সর্বজিতের উপরে হামলা চালায় অন্য দুই কয়েদি। ২ মে মারা যান সর্বজিৎ। তার পরই প্রকাশ সিংহ বাদল স্বপ্নদীপকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। শুক্রবার চাকরির নিয়োগপত্র স্বপ্নদীপের হাতে তুলে দিয়ে তিনি বলেন, “সর্বজিৎ শহিদ হয়েছেন। স্বপ্নদীপের চাকরির ব্যবস্থা করতে পেরে আমি খুশি।”
পুরনো খবর: সর্বজিৎ-হত্যা নিয়ে মুখরক্ষায় মরিয়া কেন্দ্র
|
সিবিআইয়ের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রশ্ন |
সিবিআই প্রধানের হাতে কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই প্রচুর ক্ষমতা তুলে দিলে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাল কেন্দ্র। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হলফনামায় এই মন্তব্য করেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। ওই মামলায় সিবিআইয়ের স্বাধীনতার অভাব নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরে সিবিআইয়ের তরফে তিন বছর মেয়াদের প্রধানের পদ-সহ স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারই জবাবে শুক্রবার নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল সিবিআই। তাতেও রাজি নয় কেন্দ্র।
পুরনো খবর: সিবিআইকে স্বশাসন, বেঁকে বসল বিজেপি |
|