চলন্ত ট্রেন থেকে নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ার
স্ত্রীক বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে নিখোঁজ হলেন মালদহের এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সাগ্নিক পাল নামে বছর চব্বিশের ওই যুবকের স্ত্রী শ্বেতা সরকারের অনুমান, মঙ্গলবার রাতে গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া ও তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের মাঝে এই ঘটনা ঘটেছে।
সাগ্নিক পাল
বুধবার বেঙ্গালুরু পৌঁছে রাতে সেখানকার রেলওয়ে পুলিশ থানায় লিখিত অভিযোগে শ্বেতাদেবী জানান, ওই দিন সকালে চেন্নাইতে ঘুম ভেঙে তিনি দেখেন, তাঁর স্বামী ট্রেনে নেই। বৃহস্পতিবার সকালে সাগ্নিকের মোবাইল থেকে শ্বেতাদেবীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেয় কমল বলে। তার পরেই সে ফোন কেটে দেয়। তার পর থেকে সাগ্নিকের মোবাইল বন্ধ। এ দিন দুপুরে সাগ্নিকের পরিজনেরা মালদহের জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাগ্নিকবাবুর মোবাইল বন্ধ। টাওয়ারের লোকেশন শেষ অন্ধ্রপ্রদেশে পাওয়া গিয়েছে। তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন কি না, খোঁজ করা হচ্ছে। কিন্তু গত দু’দিনে ওই এলাকায় ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী কোনও যুবকের দেহ মেলেনি। অন্ধপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
মালদহ শহরের মহেশমাটি এলাকার বাসিন্দা সাগ্নিক মাস ছ’য়েক আগে বিয়ে করেন শহরের কৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা শ্বেতাকে। বছর বাইশের শ্বেতাও বি টেক পাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় তাঁদের দু’জনেরই ইন্টারভিউ ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় মালদহ থেকে গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের এসি-থ্রি টিয়ার কামরায় (বি-৩) ওঠেন তাঁরা। বার্থ ছিল ১৫ এবং ১৬। সাগ্নিকের বাবা শশাঙ্কশেখর পাল বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আমার সঙ্গে ছেলের কথা হয়। ও জানায়, ওই কামরার তিন অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান ওকে দুপুরে ডেকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। ও তখন চলে এলেও রাতে ওরা জোর করে ওকে মদ খাওয়ায়। তা নিয়ে বৌমার সঙ্গে ছেলের ঝগড়া হয়েছিল।”
বেঙ্গালুরু থেকে শ্বেতাদেবী বলেন, “আমার নিষেধ সত্ত্বেও সাগ্নিক মদ খেতে গিয়েছিল। আমি রেগে গিয়ে বার্থে ঘুমিয়ে পড়ি। ভেবেছিলাম, ও শুতে চলে আসবে। চেন্নাই স্টেশনে ঘুম ভেঙে দেখি, সাগ্নিক নেই। যাদের সঙ্গে ও রাতে মদ খাচ্ছিল, তারাও নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি।” শ্বেতাদেবীর দাবি কামরার অন্য যাত্রীরা তাঁকে জানিয়েছেন, বিজয়ওয়াড়া স্টেশনে সাগ্নিক ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। ট্রেন ছাড়ার আগে উঠে পড়েন। রাতে তিনি এক বার বাথরুমেও যান। তার পর থেকেই তাঁকে দেখা যায়নি। যে তিন অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের সঙ্গে তিনি মদ্যপান করছিলেন, তাঁরাও বিজয়ওয়াড়ার কয়েকটি স্টেশনের পরে নেমে যান। সাগ্নিককে খুঁজতে তাঁর পরিজন ও বন্ধুরা এ দিনই বিজয়ওয়াড়া ও বেঙ্গালুরু রওনা হন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.