মোদীকে রিপোর্ট দিলেন সুষমা, বিরোধ ভুলে জয়গান যশবন্তেরও
রেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রচারে নামার কথা বলেই বিজেপি আজ ভোটের ঢাকে কাঠি বাজাল।
আজ সকাল থেকে দক্ষিণ দিল্লিতে এক সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠের বাসভবনে আরএসএসের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসেন বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে। মোদীও সেই বৈঠকে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় বিভিন্ন কমিটির সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে তিনি প্রচারের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে সুষমা স্বরাজ-সহ দলের সব নেতাই মোদীকে নিজের দায়িত্বে থাকা কমিটির বিবরণ দেন। তবে দুই বৈঠকেই ছিলেন না লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলীমনোহর জোশী। দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহ বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তাঁরা এই বৈঠকে থাকতে পারেননি। কিন্তু বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ভাবেই ১৫ অগস্টের পর থেকে ভোটযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
আরএসএস চাইছে ভোটের হাওয়া গরম হওয়ার আগেই নরেন্দ্র মোদীই যে দলের মুখ, তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হোক। সেই মর্মে আজ সকালের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে। মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার চাপও রয়েছে দলের মধ্যে। কিন্তু বিজেপি সূত্রের মতে, এখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আপাতত মোদীর নেতৃত্বে প্রচারের কাজ শুরু হোক। জল কোন দিকে গড়ায় দেখা যাক। তার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপযুক্ত সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, “মোদীর নেতৃত্বে যখন ভোট-প্রচার শুরু হচ্ছে, তখনই স্পষ্ট মোদীই তার কাণ্ডারী। এ নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই। যে সুষমা স্বরাজদের মোদীর অধীনে কাজ করায় অস্বস্তি ছিল, আজ তিনিও মোদীকে রিপোর্ট দিয়েছেন। সুতরাং বল গড়াতে শুরু করেছে। এর পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা! মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধান করেই অর্ধেক কাজ এগিয়েছে। বাকিটাও সম্পূর্ণ হবে যথাসময়ে।”
নির্বাচনী প্রচার কমিটির বৈঠকে মোদী। ছবি: পিটিআই।
এর মধ্যেই আডবাণী ঘনিষ্ঠ নেতা যশবন্ত সিন্হা, যিনি ক’দিন আগেও মোদীর সমালোচনায় মুখর ছিলেন, আজ উল্টো অবস্থান নিয়ে বলেন, “আমি নিশ্চিত বলতে পারি, মোদীই প্রধানমন্ত্রী হবেন।” দলের মোদীপন্থী নেতাদের মতে, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার জন্য নিচু তলা থেকে দলে প্রবল চাপ রয়েছে। ফলে যশবন্ত আগে যে অবস্থানই নিন, এখন তিনিও জনতার হৃৎস্পন্দন বুঝতে পারছেন। রাজনাথ দাবি করেন, “দলে সমন্বয়ের অভাব নেই বলে আজ বৈঠক করলাম। আমাদের লক্ষ্য হল কংগ্রেসকে হটিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনা।”
আগামী সপ্তাহেই অন্ধ্রপ্রদেশে সভা করতে যাচ্ছেন মোদী। তবে বিজেপি আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৫ অগস্টের পর থেকেই গোটা দেশে তারা ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে। তার মধ্যে প্রথমে জোর দেওয়া হবে সে সব রাজ্যে, যেখানে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থান, ২৫ সেপ্টেম্বরে ভোপালে সভা হবে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতারা যাবেন। লোকসভার আগে অন্তত ১০০টি জনসভা করা হবে। প্রতিটি সংসদীয় কেন্দ্রে বুথ সম্মেলন হবে। নতুন ভোটারদের নিয়েও করা হবে সম্মেলন। সঙ্ঘের সঙ্গে বৈঠকে আজ রাজ্য ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে। স্থির হয়েছে, বর্তমান ও সম্ভাব্য শরিকদের কথা ভেবেই প্রতিটি রাজ্যে প্রচার হবে। সম্ভাব্য শরিকদের প্রতি যাতে নরম অবস্থান নেওয়া হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে প্রচারে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.