সঙ্কট কিছুতেই কাটছে না উত্তরকাশীতে। প্রবল বৃষ্টি আর তার জেরে ফুলেফেঁপে ওঠা ভাগীরথীর জলে বিলীন হয়ে গেল উত্তরকাশীর মণিকর্ণিকা মন্দির। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কাল রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জল বাড়তে শুরু করে ভাগীরথীর। প্রবল জলস্রোতে মণিকর্ণিকা মন্দিরের ভিত নড়ে যায়। শেষে শুক্রবার ভোররাতে পুরো মন্দিরটাই ভেঙে তলিয়ে যায় নদী গহ্বরে।
১৯৯১ সালের ভয়াবহ ভূকম্পে পুরনো মন্দিরটি ভেঙে যায়। তার পরে ফের নতুন করে তৈরি হয় মণিকর্ণিকা মন্দির। সাধারণত শ্রাবণ মাসে
মন্দিরে পুণ্যার্থীর ভিড় লেগে থাকে। তবে অত সকালে কোনও পুণ্যার্থী না থাকায় কেউ হতাহত হননি বলেই জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত
সুরেশ শাস্ত্রী।
গত বুধবার উদ্ধারকাজ তদারকি করে কেদারনাথ থেকে ফেরার পথে অস্থায়ী সাঁকো থেকে পা হড়কে মন্দাকিনীর জলে তলিয়ে যান আলমোরার মহকুমাশাসক অজয় অরোরা। রুদ্রপ্রয়াগে আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত ভাল হওয়ায় অজয়ের খোঁজে ১৪ জন ডুবুরির একটি বিশেষ দল শোনপ্রয়াগে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক মীরা কাইন্তুরা।
১৬ জুন মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারা যান হাজারের কাছাকাছি। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে অন্যতম কেদারনাথ মন্দির। রাজ্য প্রশাসনের তরফে অনেক আগেই জানানো হয়েছিল যে, ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে চারধাম যাত্রা শুরু করা যাবে না। কিন্তু আজ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, শঙ্করাচার্য স্বামী এবং স্বরূপানন্দ সরস্বতীর প্রতিনিধিদের বিশেষ বৈঠকে ঠিক হয় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে মন্দিরে পুজো শুরু হবে।
এ দিকে হিমাচলপ্রদেশের লাহুল আর স্পিতিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেসে গেল অনেক গৃহপালিত পশু। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকাল থেকে কাংড়ায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় হিমাচলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূবার্ভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। |