|
|
|
|
মণিপুর |
কলকাতার দুই ইঞ্জিনিয়ার-সহ অপহৃত সাত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মণিপুর সেচ দফতরের দুই ইঞ্জিনিয়র ও কলকাতার দুই ইঞ্জিনিয়র-সহ সাতজনকে অপহরণ করল জঙ্গিরা। গত কাল বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, কলকাতার একটি নির্মাণ সংস্থার দুই ইঞ্জিনিয়ার গত কালই ইম্ফলে পৌঁছন। তাঁদের নাম অভিজিৎ সিংহ ও দেবজিৎ সিংহ। দু’জনেই কলকাতার আরএন সিংহ কনস্ট্রাকশন কোম্বানির ইঞ্জিনিয়র। এদের মধ্যে দেবজিৎবাবু আবার সংস্থার মালিক, আর এন সিংহের ছেলে। এ ছাড়া, সেচ দফতরের দুই সিনিয়র ইঞ্জিনিয়রের নাম এন কর্ণাচার্য ও এন সুরচন্দ্র। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন স্থানীয় ঠিকাদার সানাইয়ামা শর্মা।
জানা গিয়েছে, পূর্ব ইম্ফলের ডোলাইথাবিতে ইরিল নদীর উপরে বাঁধের নির্মাণস্থল তদারক করে তাঁরা দু’টি সরকারি গাড়িতে ইম্ফলে ফিরছিলেন। পুলিশের সন্দেহ, তখনই কুকি জঙ্গিরা তাঁদের অপহরণ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফুখাও এলাকার তেরাপুর রোডে জঙ্গিরা গাড়ি দু’টি থামিয়েছিল। তারপর থেকেই গাড়ি-সহ সাতজন নিখোঁজ। ২৪ ঘণ্টা পরেও খোঁজ মেলেনি।
কলকাতার সংস্থাটি বাঁধ নির্মাণের ঠিকা পাওয়ায় প্রায়ই তাদের কর্তারা বাঁধের কাজ দেখতে ইম্ফলে আসতেন। পূর্ব ইম্ফল, উখরুল, সেনাপতি জেলার সংযোগস্থলে থৌবাল বহুমুখী প্রকল্পটিও এই সংস্থাই তৈরি করছে। দেবজিৎ এই প্রথম বার ইম্ফল এসেছিলেন। পুলিশ রাতে অপহরণের ঘটনা জানতে পারে। কিন্তু অপহৃতদের উদ্ধারে এখনও পুরোমাত্রায় সশস্ত্র অভিযান চালাবার ব্যাপারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্বিধাগ্রস্ত। কারণ, সেক্ষেত্রে জঙ্গিরা অপহৃতদের হত্যা করতে পারে। তবে পাহাড়ে, জঙ্গলে তল্লাশি চলছে। পুলিশের দাবি, সেচ দফতরের তরফে বাঁধ তদারকের ব্যাপারে তাদের আগাম কোনও খবর দেওয়া হয়নি, প্রহরাও চাওয়া হয়নি। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অপহরণকারীরা এখনও মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেনি। তবে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন মোটা টাকা চেয়ে সেচ দফতরকে নাগাড়ে হুমকি দিচ্ছিল। দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়র ইন্দ্রমণি সিংহ আজ ঘটনাটি নিয়ে সেচমন্ত্রী গামথাং হাওকিপের সঙ্গে দেখা করে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা গত রাতে ইম্ফলের কাংজাবি মেইসনাম লেইকাই এলাকার একটি বেকারির ভিতরে গ্রেনেড ছোড়ে। বেকারির মালিক পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা কৃষ্ণ পাল। তবে কর্মীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। পুলিশের দাবি, অ-মণিপুরি মালিকের বেকারিতে অ-মণিপুরি শ্রমিকদের হত্যা করতে জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুড়েছিল। |
|
|
|
|
|