|
|
|
|
দল আমল দিচ্ছে না বিহারিবাবুকে |
আডবাণীকে যোগ্য বলে শত্রুঘ্ন বিতর্কেই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিজেপি চায় ‘খামোশ’ থাকুন তিনি। চায় সংবাদমাধ্যমে যেন বারবার মুখ না ভেসে ওঠে তাঁর। কিন্তু রাজনাথ সিংহদের মনপসন্দ বাধ্য নেতা হয়ে থাকতে নারাজ শত্রুঘ্ন সিন্হা। ক’দিন আগেই তিনি বিহারে বিজেপি-র কট্টর শত্রু নীতীশ কুমারের প্রশংসা করে চটিয়েছেন দলের নেতৃত্বকে। আজ ফের তিনি মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে লালকৃষ্ণ আডবাণীই দলে সব চেয়ে যোগ্য নেতা। নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে এ দিন তিনি মন্তব্য করেন, “জনপ্রিয়তা একমাত্র মাপকাঠি হলে অমিতাভ বচ্চনের রাষ্ট্রপতি হওয়া উচিত।”
মোদীকে প্রায়ই দেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা বলে উল্লেখ করেন রাজনাথ। তার পাল্টা ওই মন্তব্য করে শত্রুঘ্নর পরামর্শ, “জনপ্রিয়তাকে কী ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে সেটাই বিবেচ্য। সে জন্য উপযুক্ত মঞ্চের প্রয়োজন।” বিজেপি কিন্তু মনে করছে, নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে নিজের জনপ্রিয়তাকেই বাজি রেখে এই সব বলছেন পটনাসাহিবের সাংসদ। আক্রমণ করছেন মোদী-রাজনাথকে।
নীতীশের প্রশংসা করার পরে দলের তরফে উমা ভারতী মন্তব্য করেছিলেন, কংগ্রেসে দিগ্বিজয় সিংহের মতো বিজেপি-তেও শত্রুঘ্ন সিন্হার কথারও কোনও মূল্য নেই। উপেক্ষাই তাঁর শাস্তি। আডবাণীকে নিয়ে শত্রুঘ্নর এ দিনের মন্তব্যেও দলের প্রতিক্রিয়া ছিল একই রকম। তা হল, শত্রুঘ্ন সিন্হার মতের কোনও গুরুত্বই নেই। দলের মুখপাত্র মীনাক্ষি সিন্হার কথায়, “সংবাদমাধ্যমের উচিত শত্রুঘ্নকে পাত্তা না দেওয়া।”
বিজেপি সূত্রে খবর, পরবর্তী লোকসভা ভোটে শত্রুঘ্নকে টিকিট না-ও দিতে পারে দল। সেটা আঁচ করেই নীতীশের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় পৌঁছানোই হয়তো লক্ষ্য এখন শত্রুঘ্নর। আজ এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন জানান, আডবাণী হয়তো আর প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। কিন্তু, তাঁর মতে আডবাণীর চেয়ে ভাল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী দলে কেউ নেই। বিজেপি-তে তাঁর অবদান অপরিসীম। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদীর সাফল্যের কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন শত্রুঘ্ন। সে ক্ষেত্রেও মোদীকে বিঁধেছেন চৌহান-কাঁটায়। তাঁর কথায়, “মোদী মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মতোই সফল।”
আগে থেকেই মোদীর সঙ্গে শিবরাজের এই তুলনাটা করে আসছেন খোদ আডবাণীও।
|
পুরনো খবর: নীতীশের প্রশংসায় শত্রুঘ্ন, দলীয় মুখপাত্রকে শোকজ |
|
|
|
|
|