|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে অন্নপূর্ণার আশ্বাস |
বাংলা ভাষার উন্নয়নে উদ্যোগী মন্ত্রী |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • কোডারমা |
হাল ফিরবে বাংলা শিক্ষার। কোডারমার বাঙালি সমাজের কাছে এমন প্রতিশ্রুতিই দিলেন রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী অন্নপূর্ণাদেবী।
বাংলা ভাষা দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতি পেলেও তা ঝাড়খণ্ডে এখনও কার্যকর হয়নি। কোডারমা, হাজারিবাগ, সাহেবগঞ্জ, দুমকা, এমনকী রাজধানী রাঁচিতেও বাংলা স্কুলগুলির অত্যন্ত দৈন্য দশা। অনেক জায়গাতেই স্কুল চালু রাখতে লেখাপড়ার মাধ্যম বাংলার বদলে হিন্দি, নয়তো ইংরেজি করে দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ঝাড়খণ্ডের বাঙালিরা। মন্ত্রী হওয়ার পরে নিজের কেন্দ্র কোডারমায় এসে এখানকার বাঙালিদের সঙ্গে দেখা করেন অন্নপূর্ণাদেবী। কোডারমার বাঙালিরা ঝুমরি তিলাইয়ার আড্ডি পাড়ায় মঙ্গলবার মন্ত্রীকে সংবর্ধনাও জানান। মন্ত্রী তথা নিজেদের এলাকার বিধায়কের কাছে বাংলা শিক্ষার প্রসারের জন্য আবেদন জানান কোডারমার বাঙালিরা। |
|
মন্ত্রী অন্নপূর্ণাদেবীকে সংবর্ধনা কোডারমার বাঙালিদের। ছবি: মুন্না কামদা |
কোডারমা বাঙালি সমিতির সহ-সভাপতি অশোক দাশগুপ্ত বলেন, “এখানকার বাঙালিদের যে কোনও বিষয়ের সঙ্গে অন্নপূর্ণাদেবী জড়িয়ে আছেন। উনি আমাদের দুর্গাবাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন। এখন উনি রাজ্যের মন্ত্রী। ফলে ওঁর কাছে আমাদের আবেদন, এ বার যেন বাংলা শিক্ষার প্রসারের বিষয়টি উনি সরকারের সামনে তুলে ধরেন।” ঝাড়খণ্ডে বাংলা শিক্ষার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী নিজেও। রাজ্যের বাংলা স্কুলগুলি যে ধুঁকে-ধুঁকে চলছে তাও স্বীকার করে নেন তিনি। তাঁর কথায়, “রাজ্যে বাংলা ভাষা রাজভাষার স্বীকৃতিই শুধু পেয়েছে। আর কিছু হয়নি। বাংলা শিক্ষকের অভাবে বাংলা পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গাতেই। অনেক স্কুলেই বাংলা বই নেই। কী ভাবে ফের বাংলা শিক্ষার প্রসার ঘটানো যায় তার জন্য বাঙালিরাও সরকারকে পরামর্শ দিন। নতুন সরকারও এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে।” তিনি জানান, নতুন সরকার যে সাধারণ নূন্যতম কর্মসূচি প্রকাশ করেছে তাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলা-সহ রাজভাষার স্বীকৃতি প্রাপ্ত আঞ্চলিক ভাষাগুলির প্রসারের দিকে।
উল্লেখ্য, পারিবারিক দিক থেকে অন্নপূর্ণাদেবী নিজে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকার মানুষ। তিনি নিজেও অত্যন্ত ভাল বাংলা বলেন। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কেন্দ্র দুমকাতেও বাঙালিরা রয়েছেন যথেষ্ট পরিমাণে। ফলে এ বার বাংলা ভাষার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ হবে এমন আশা করছেন ঝাড়খণ্ডের বাঙালিরা। |
|
|
|
|
|