|
|
|
|
অসম থেকে এ বার আলাদা হতে চাইছে বরাক |
উত্তম সাহা • শিলচর |
অসম থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাঙালিপ্রধান বরাক উপত্যকাতেও।
এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলির সুরাহা কেন হল না, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছে আকসা যুব ফ্রন্ট। সংগঠনটি জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে সরকার সন্তোষজনক জবাব না দিলে পৃথক বরাক আন্দোলন শুরু হবে। তবে, পৃথক রাজ্য নয়, আপাতত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণারই দাবি তুলেছে সংগঠনটি।
আকসা-র সভাপতি প্রমোদ শ্রীবাস্তব এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব সোম জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানার মানুষ পৃথক রাজ্য আদায় করতে সক্ষম হওয়ায় তাঁরাও উজ্জীবিত। কেন্দ্র-রাজ্য বরাককে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করে চলেছে। ১৭ বছরেও ব্রডগেজ লাইনের কাজ শেষ হয়নি। থম্কে রয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজও। ভোট এলেই সরকারের তৎপরতা শুরু হয়। তারপর সব বন্ধ। প্রমোদবাবুর বক্তব্য, “বিধানসভা ভোটের আগে হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এক বছরেও কিছু হয়নি। এলাকার চিনিকল বন্ধ। কাগজকলটিও বন্ধের মুখে।” রাজ্যের আবগারি এবং ক্রীড়া, যুবকল্যাণ মন্ত্রী তথা বরাক উপত্যকার উধারবন্দ আসনের বিধায়ক অজিত সিংহ বলেন, “বরাকের স্থানীয় নানা সমস্যা নিয়ে গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস বিধায়করা। এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” |
 |
দিফুতে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সরকারি অফিস। শুক্রবার সকালে। ছবি: উজ্জ্বল দেব |
রাজীববাবু বলেন, “আন্দোলন শুরু হলে বরাক নিজেদের দাবি আদায় করবেই। আগেও তার প্রমাণ রয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, ১৯৬১ সালে ১১ জন তরুণ-তরুণী পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েও বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতি আদায় করেছে। একইভাবে, আকসা-র বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের জেরে শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে।
সংগঠনটির বক্তব্য, বরাকের প্রতি বৈষম্য নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। আন্দোলন শুরু হলে তাঁরাও এগিয়ে আসবেন। সে ক্ষেত্রে, তেলেঙ্গানার মতো আন্দোলন হতে পারে বরাকেও।
এ বিষয়ে ‘ইউনিয়ন টেরিটরি ডিমান্ড কমিটি’র (ইউটিডিসি) প্রধান পরিতোষ পালচৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন আকসা যুব ফ্রন্ট নেতারা। তাঁদের কথায়, “ভৌগোলিক দিক দিয়ে রাজ্যের অন্য প্রান্তের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন বরাক। উপত্যকার ভাষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, যোগাযোগসব কিছুই ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে আলাদা। তাই এখানে এই দাবি অত্যন্ত স্বাভাবিক। |
|
|
 |
|
|