গণনার ফল বেরোনোর পরই সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডায়মন্ড হারবারের ঝিঙা গ্রাম। মঙ্গলবার রাতে ওই গ্রামের সিপিএম এবং তৃণমূল দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরাই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর ওই গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে মারপিট হয়। পুলিশ গিয়ে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং দু’পক্ষকেই মঙ্গলবার সকালে থানায় এসে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে কোনও পক্ষই থানায় যায়নি। পরে রাতে দু’পক্ষই এসে পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে। তৃণমূল সিপিএমের চারজনের বিরুদ্ধে এবং তৃণমূল সিপিএমের দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই পঞ্চানন হালদার নামে এক সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়।
|
ছাত্র নেতা খুনে তাঁর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল বনগাঁ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বনগাঁর পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুদীপ্ত সরকার। পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত্যুর আগে এই সুদীপ্তর সঙ্গেই ছিল সৌম্য। সোমবার রাতে বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র-সংসদের ছাত্র নেতা সৌম্য বিশ্বাসের দেহ উদ্ধার হয় কোড়ারবাগানে। সৌম্যর মাসি মঞ্জু অধিকারী সুদীপ্ত-সহ দু’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, নিহত সৌম্যর বাবা বেআইনি অস্ত্র কারবারে যুক্ত। ধরা পড়ে এখন বাংলাদেশের জেলে। বাবার কারবার সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
পুলিশের সাহায্যে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে কাকদ্বীপের মৃণালনগরের ঘটনা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয় পাথরপ্রতিমার তারানগর গ্রামের গোপাল গাড়ুর সঙ্গে। আজ, বৃহস্পতিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার কাকদ্বীপের বিডিও অভিজিৎ চৌধুরি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি জানান ঢোলাহাট থানার পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ওই পরিবারের লোকজনদের বিয়ে আটকাতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো ওই নাবালিকার বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
|
ভাঙড়ের তৃণমূলকর্মী নজরুল মোল্লা খুনের মামলায় সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লার ফের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারক। ঘুংরি গ্রামে ১৬ জুলাই রাতে খুন হন নজরুল (৫০)। নিহতের ভাই মহসিন মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ জুলাই সাত্তার গ্রেফতার হন। সেই সময় বারুইপুর আদালতের বিচারক সাত্তারকে ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন। বুধবারও একই নির্দেশ হয়েছে। ১৪ অগস্ট ফের সাত্তারকে আদালতে হাজির করানো হবে। সাত্তারের আইনজীবী শেখ ইয়াসিন মণ্ডল এ দিন বিচারকের কাছে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের স্পন্ডিলোসিসের সমস্যা আছে। তিনি যাতে বিষয়টি দেখেন। তাঁর দাবি, সাত্তার মোল্লার যাতে শারীরিক অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য বিচারক জেল সুপারকে নির্দেশ দেন।
পুরনো খবর: তৃণমূল কর্মী খুনে ধৃত সিপিএম নেতা |