এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির দায়ে গ্রেফতার এক যুবক জামিনে ছাড়া পাওয়ার জেরে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দুটি স্কুলে ঢুকে পড়ে। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। দু’জন গ্রামবাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশি সূত্রের খবর, শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে ২৫ জুলাই। সাঁপুইপাড়া কিরণশশী শিক্ষামন্দির ফ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর কিছু আগে ঢোকে ওই ছাত্রী। তখন বছর বত্রিশের এক যুবক একটি নির্জন শ্রেণিকক্ষে তার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের কাছে ছাত্রীটি তা জানালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাত্রীর বাবাকে নিয়ে উলুবেড়িয়া থানায় যান। ছাত্রীর বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। তাকে গ্রেফতার করা হলেও উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালত তাকে জামিন দেয়। |
বুধবার গ্রামবাসীরা প্রাথমিক স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দিয়ে শিক্ষকদের দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়। তাঁদের অভিযোগ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করার ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই অভিযুক্ত জামিন পেয়েছে। পুলিশ এলে লঘু ধারা দেওয়ার অভিযোগ করে ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকেও আক্রণণ করে। পাশে চেঙ্গাইল শ্রীবিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে ইউনিট টেস্ট নেওয়া হচ্ছিল। পাঁচিল টপকে জনতা হাইস্কুলেও ঢুকে পড়ে। পরীক্ষা ভণ্ডুল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ এসে জনতাকে হঠিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশ লাঠি চালানোর কথা স্বীকার করেনি।
প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ প্রামাণিক বলেন, “ছাত্রীর বাবা নিজে এফআইআর করেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের গাফিলতি কোথায়?” বিক্ষোভকারীরা জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য শিক্ষকেরা ছিলেন না বলে এতদিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখাননি। এ দিন স্কুলের শিক্ষকেরা হাজির হতেই দু’টি স্কুলে বিক্ষোভের কর্মসূচি নেওয়া হয়। |