ছপরা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বিভিন্ন স্কুলে ঝঠিকা অভিযান চালানো শুরু করল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক স্কুলে হানা দিয়ে মিড-ডে মিলের নমুনা সংগ্রহ করেছে দলটি। মন্ত্রক সূত্রের খবর, পরবর্তী নমুনা সংগ্রহের অভিযান হবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড-সহ পূর্ব ভারতে। রাজ্যগুলির বিভিন্ন স্কুল থেকে পাওয়া নমুনা দেশে সিএসআইআর-র ১৬৪টি গবেষণাগারে পাঠানো হবে। প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রক। খাদ্যের গুণমান সংক্রান্ত ওই কমিটির কাজের পরিধি ও তাতে কারা থাকবেন, তা চূড়ান্ত করতে কাল বৈঠকে বসছে মন্ত্রক।
ছপরায় মিড-ডে মিলের বিষক্রিয়ায় বেশ কিছু শিশুর মৃত্যুর পরেই স্কুলের খাবার রান্না ও বিলি নিয়ে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের সচিব রাজর্ষি ভট্টাচার্য গত সপ্তাহেই রাজ্যের শিক্ষা সচিবদের নির্দেশ দেন, খাদ্যের গুণমান বজায় রাখা, খাবার পরিবেশনের আগে তা পরীক্ষা করার নিয়মগুলি যেন কড়া ভাবে মানা হয়। কী কী পরীক্ষা হচ্ছে?
মন্ত্রক জানিয়েছে, সবার আগে পরিবেশিত খাবারের পুষ্টিগুণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রান্নার জলও পরীক্ষা করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছে কী না, তা-ও দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া খাবারে ই-কোলাই ধরনের কোনও ব্যাকটেরিয়া রয়েছে কী না, সেটাও দেখতে বলা হয়েছে সিএসআইআর-এর প্রতিনিধিদের।
যে জায়গায় কাঁচা খাদ্যশস্য মজুত করে রাখা হচ্ছে, তা স্বাস্থ্যকর কী না, সেটাও দেখবে দলটি। বর্ষার জলে ভিজে অনেক সময়ে খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়। মন্ত্রক দেখেছে, অনেক স্কুল ভিজে-পচা খাদ্যশস্যই রান্না করে পড়ুয়াদের খেতে দেয়। তবে বহু স্কুলেই যে খাদ্যশস্য সংরক্ষণে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছে মন্ত্রক। মিড-ডে মিলের দায়িত্বে থাকা এক কর্তার কথায়, “আমরা জানি বহু স্কুলেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। কিন্তু তার জন্য পড়ুয়াদের খারাপ খাবার দেওয়াটাও মেনে নেওয়া যায় না।” প্রাথমিক পর্বে হাজার খানেক স্কুল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করা হবে। ঠিক হয়েছে, স্কুলের নমুনা পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে জরিমানা হবে। মন্ত্রকের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্য স্কুলে খাবার বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে।
|