মাত্র আট দিনের রুগ্ণ-অসুস্থ শিশুকে শৌচাগারের ময়লার বালতিতে ফেলে দিয়েছিলেন মা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ নোংরার মধ্যে পড়ে থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছিল সদ্যোজাতের শরীরে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে ১৬ দিন লড়াই চালিয়ে সোমবার হাসপাতালেই মৃত্যু হল ওই শিশুর। আপাতত তাকে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ন্যাশনালের সুপার পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ ছিল। মাত্র ৯০০ গ্রাম ওজন হয়েছিল। আমরা অনেকটা সুস্থ করে তুলেছিলাম। মায়ের দুধ খেতেও শুরু করেছিল। কিন্তু তখনই ওকে নোংরার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। তার পরেও যে ও এতদিন লড়াই চালাবে, ভাবা যায়নি।” |
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে ফেলার আগে তার মা নিজের এবং শিশুর হাতে লাগানো হাসপাতালের নম্বর লেখা কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। তাই শিশুটি উদ্ধারের পর থেকে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ হিসাবেই গণ্য করা হয়েছিল। একটু সুস্থ হলে তার ডিএনএ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভেন্টিলেটর থেকে বার করা যায়নি বলে সেই পরীক্ষা করা হয়নি। আজ মঙ্গলবার মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তার আগে কলকাতার শিশুকল্যাণ সমিতির সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নেবে তারা।
গত ১৩ জুলাই ন্যাশনালের নার্সারি থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তার মা অঞ্জুম বেগম। পরে জেরার মুখে অঞ্জুম নিজের দোষ স্বীকার করেন।
|