তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ পঞ্চায়েতের ফলে
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ল বাগদা ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েতের ফলাফলে। দলের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়ান। তাঁদের কেউ কেউ জিতেও গিয়েছেন। বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও যার প্রভাব পড়তে পারে। যে কারণে আপাতত অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতে তৃণমূল পেয়েছে ৫টি আসন, নির্দল তথা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীরা পেয়েছেন ৪টি আসন। অন্য দিকে, এই কোন্দলের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে সিপিএম। পঞ্চায়েতে ৮টি আসনই দখল করেছে তারা। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে বাগদা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তরুণ ঘোষদের অনুগামীদের দ্বন্দ্ব এলাকায় পরিচিত। নির্বাচনের আগে উপেনবাবু ও দিলীপবাবুরা আলাদা করে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেন। বিরোধ মেটাতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বেশ কয়েক বার বৈঠকও হয় সব পক্ষকে নিয়ে। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে বাগদা ব্লকের পর্যবেক্ষক করা হয়।
সিপিএমের সমর্থকদের উল্লাস। বনগাঁয় নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।
কিন্তু তারপরেও নির্দল-কাঁটা পুরোপুরি তোলা যায়নি। হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের নিখিল ঘোষ, তৃণমূল নেতা অঘোর হালদার-সহ বেশ কয়েক জন নির্দল হিসেবে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। উপেনবাবুর অভিযোগ, বাগদায় তৃণমূলের ব্লক কমিটি প্রচারে সঠিক ভূমিকা নেয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যাননি দিলীপবাবুরা। উল্টে নির্দল প্রার্থীদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। সোমবার পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের পরে উপেনবাবু বলেন, “ওদের সাহায্য নিয়ে আমরা বোর্ড গঠন করব না।” দিলীপবাবুরা অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।
শুধু হেলেঞ্চা নয়, ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়েছেন নির্দলেরা। আগের নির্বাচনে বাগদা ব্লকে কোনিয়ারা ১ ও মালিপোঁতা পঞ্চায়েতে দখল ছিল বামেদের। এ বারও ওই দুই পঞ্চায়েতে জয় ধরে রেখেছে তারা। বয়রা পঞ্চায়েতটিও এ বার সিপিএমের দখলে। রণঘাট পঞ্চায়েতে আবার তৃণমূল ও সিপিএমের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা সমান-সমান। ফল দেখে তাই তৃণমূলের একাংশ বলছেন, উপেনবাবুদের লড়াই সিপিএমের বিরুদ্ধে ছিলই না। বরং দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন তাঁরা। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দিলীপ গোষ্ঠীর লোকজন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.