|
|
|
|
প্রবল তৃণমূল ঝড়েও একা কুম্ভ সুব্রত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলপাহাড়ি |
তৃণমূলের ঝড়েও জিতে গেলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১২ নম্বর আসনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন দলের জেলা সহ সভাপতি প্রবীণ অকৃতদার মানুষটি। তাঁর বিপক্ষে ছিলেন তৃণমূলের বেলপাহাড়ি ব্লক সভাপতি বনপতি মাহাতো। দলীয় টিকিট না পেয়ে বেলপাহাড়ি অঞ্চল তৃণমূলের আহ্বায়ক ধীমান লাহা ‘গোলাপ ফুল’ প্রতীকে বনপতিবাবুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর দলের শীর্ষনেতৃত্বের হস্তক্ষেপে প্রচারপত্র ছড়িয়ে বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১২ নম্বর আসনে বনপতিবাবুকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বছর চল্লিশের ধীমান। কিন্তু গত ২২ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ধীমানবাবুর মৃত্যু হয়। এই আসনে সিপিএমের কোনও প্রার্থী নেই। সিপিএমের টিকিটে যে প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, তিনি পেশায় পঞ্চায়েতের ঠিকাদার হওয়ায় স্ক্রুটিনির দিন তাঁর মনোনয়পত্র খারিজ হয়ে যায়। ফলে, ‘দু’টি পাতা ও কঁুড়ি’ প্রতীকে দাঁড়ানো ঝাড়খণ্ড পার্টির নির্দল প্রার্থী সুবোধ প্রামাণিককে সমর্থন করে সিপিএম। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রবীণ এই নেতা বেলপাহাড়িতে ‘ভট্চাজ’ নামে বেশি পরিচিত। রাজনীতির বাইরে তাঁর পেশা যজমানি। প্রভূত তাঁর জন সংযোগ। এর আগে বার কয়েক পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েও অবশ্য সুব্রতবাবুর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। এ বার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ভোট কাটাকুটির খেলায় আখেরে সুব্রতবাবুরই লাভ হবে বলে এলাকার গুঞ্জন ছিল। ঝাড়খণ্ড পার্টির নির্দল প্রার্থী সুবোধ প্রামাণিককে সিপিএম হাইজ্যাক করে নেওয়ায় বেজায় চটেছিলেন ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) নেত্রী চুনিবালা হাঁসদাও। ঝাড়খণ্ডী সমর্থকেরা সুব্রতবাবুকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছিলেন চুনিবালা।
সুব্রতবাবুর প্রাপ্তভোট ১,৫২৮। বনপতিবাবু পেয়েছেন ১,২৯৮টি ভোট। সুব্রতবাবু ২৩০ ভোটে জিতেছেন। সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুবোধ প্রামানিক তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। সবশেষে মাত্র ৮৮টি ভোট পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন প্রয়াত ধীমানবাবু। সুব্রতবাবুর প্রতিক্রিয়া, “পঞ্চায়েতে এক দলীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করব।” |
|
|
|
|
|