কড়া নজরদারিতে নির্বিঘ্নে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মোট ১১টি বুথের পুনর্নির্বাচন মিটল।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার চাকদহের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪১ নম্বর বুথ ও করিমপুর ২ ব্লকের পিয়ারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৪ নম্বর বুথে পুননির্বাচন হয়েছে নির্বিঘ্নে। গত ২২ জুলাই সোমবার ওই দুটি বুথে গন্ডগোলের জেরে ভোট গ্রহণ ভেস্তে যায়। তবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মোড়কে পুনর্নির্বাচনে ওই বুথ দু’টিতে ভোট হয়েছে কোনও অশান্তি ছাড়ায়। জেলা প্রশাসনসূত্রের খবর, বসন্তপুর ও পিয়ারপুরে মোট ৭৮ জন নিরাপত্তারক্ষী ছিল। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। |
স্থানীয় ভোটাররা অবশ্য জানাচ্ছেন, সোমবারেই যদি নিরাপত্তার এমন বজ্র আঁটুনি থাকত তাহলে আর আজকেও ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হত না। নষ্ট হত না দুটো কর্মদিবসও। নদিয়ার চাকদহ ব্লকের ২৪১ নম্বর বুথ ও করিমপুর-২ ব্লকের ৯৪ নম্বর বুথে যথাক্রমে ৬৭ শতাংশ ও ৯৩.৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান জেলাশাসক পি বি সালিম। এ দিনের পুনর্নির্বাচনে রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের একটি বুথে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত সমিতির আসনের জন্য ভোট নেওয়া হয়। বাকি বুথগুলিতে অবশ্য পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই ভোট হয়েছে। এ দিনের ভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাটো। |
বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশও। মুর্শিদাবাদের জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ছিল। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।’’ সোমবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে বোমার ঘায়ে এক মহিলার মৃত্যুর তিক্ত অভিজ্ঞতার পর বেলডাঙা-১ ও ২ এবং নওদা ব্লকের মোট পাঁচটি বুথের পুনর্নিবাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। এ দিন কাজিশাহ গ্রামে ভোটের বলি নূরজাহান বিবির পরিবারের সকলেই দাঁড়িয়েছিলেন ভোটের লাইনে। মৃতার স্বামী আসাদুদ্দিন সাদিক বলেন, ‘‘সকলকে নিয়ে গ্রামে থাকতে হবে। ভোট দেওয়াটা একটা সাধারণ দায়িত্ব। |
তাই আমরা সকলেই এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়েছি।’’ সব বুথেই সকাল থেকে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের কড়া নজরদারিতে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
একই দৃশ্য চোখে পড়েছে রঘুনাথগঞ্জ ও ডোমকলেও। রঘুনাথগঞ্জের সোনাটিকুরি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে দীর্ঘক্ষণ হাজির থেকে নজরদারি চালিয়েছেন রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও বুদ্ধদেব দাস। ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার উৎসাহ ছিল অপেক্ষাকৃত কম। ডোমকলের তিনটি বুথেই এ দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যেই ভোট পর্ব শেষ হয়। ওই বুথগুলিতে সোমবার ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। তাই নিয়ে অশান্তিও ছড়ায় এলাকায়। তবে এ দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। |