বিদ্যুৎ নিয়ে নাজেহাল অবস্থা জেলার টেলিকম দফতরের। লো-ভল্টেজের সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে বিদ্যুতের বিল বকেয়ার অভিযোগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনাও। ফলে পলষণ্ডা, সীমানাপাড়াএলাকার টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ছে। লিঙ্ক পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অচল হয়ে পড়ছে ব্যাঙ্কের কাজও। টেলিকম দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার জেনারেটর ও ব্যাটারি দিয়ে কিছুক্ষণ এক্সচেঞ্জটি সচল রাখা গেলেও বৃহস্পতিবার আর তা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সর্বনগর ও পশলা এক্সচেঞ্জেরও লাইন কেটে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদে ৯৩টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ রয়েছে। সমস্ত এক্সচেঞ্জেই টেলিকম দফতর বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে নিজস্ব ট্রান্সফর্মার বসিয়ে। তা সত্ত্বেও অন্তত ১০টি এক্সচেঞ্জ লো-ভোল্টেজ সমস্যায় জেরবার। টেলিকম দফতরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সাধন মণ্ডল বলেন, “যেমন বিল আসে বিদ্যুৎ দফতরকে তেমনভাবেই বিল চেকের মাধ্যমে মেটানো হয়। পলষণ্ডা এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রেও বিল মেটানো হয়েছিল। তবু নবগ্রাম বিদ্যুৎ দফতরের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ এই দু’টি এক্সচেঞ্জে বিদ্যুৎ কেটে দেওয়া হয়েছে।” বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিসনাল ইঞ্জিনিয়ার সূর্যকান্ত কোলে বলেন, “সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বলেছি।” কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও এক্সচেঞ্জেই বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি।
|
কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন অজ্ঞনাপাড়ার মাঝবয়সী মহিলা অঞ্জু সিংহের খুনের ঘটনায় পুলিশ বুধবার রাতে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত সঞ্জিৎ রায় শহরের সরোজপল্লি মতিসুন্দরী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তার বাড়ি থেকে ১৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, খুনের সময় ব্যবহৃত বোমাগুলি ধৃতের বাড়িতেই বানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন ঘোড়াপট্টি-অজ্ঞনাপাড়া এলাকায় অঞ্জুদেবীর বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। খোঁজ করে তাঁর ছেলে বাপ্পা সিংহের। তাকে না পেয়ে অঞ্জুদেবীকে গুলি করে দুর্বৃত্তেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “সমাজবিরোধীদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই ছেলেকে না পেয়ে মা-কে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।”
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত আজহার শেখ (২৩) নবগ্রামের পাঁচগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ভিলেজ পুলিশ ওই যুবক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরবাইকে করে ডিউটিতে যাওয়ার সময় নবগ্রামের কানখলা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ দিনই বহরমপুরে পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দেবা সরকার (৪০) নামে এক ব্যক্তি। তিনি মধুপুরের বাসিন্দা। |