|
|
|
|
ফেডারেশনের সঙ্গে ক্লাব জোটের সভা স্থগিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দিনভর নানা আলোচনা। রাত পর্যন্ত চিঠি-চাপাটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবই পর্বতের মুষিকপ্রসব। নবি-নির্মল-সঞ্জুদের নিয়ে তৈরি হওয়া জটও খুলল না।
ফুটবল আইপিএল নিয়ে আজ বুধবার ক্লাব জোটের পক্ষ থেকে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আইএমজি রিলায়্যান্স ও ফেডারেশনের কাছে। কিন্তু অনির্দিষ্ট কালের জন্য তা স্থগিত হয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস ক্লাব জোটকে ই-মেলে জানিয়ে দিলেন, “বুধবার সভা হওয়া সম্ভব নয়। স্পনসররা এখনও তৈরি নয়। ১ অগস্টের পরে এক দিন হবে।”
যা শুনে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুম্বইয়ে অপেক্ষায় থাকা আই লিগ ক্লাবের কর্তারা। ফেডারেশনের পক্ষ থেকেই স্পনসরদের সঙ্গে আলোচনার চিঠি দেওয়া হয় তাঁদের। এ দিন তাঁদের সভার পর জোটের প্রেসিডেন্ট রাজ গোমস ফেডারেশন সচিবকে চিঠিতে লেখেন, “ফুটবলে আইপিএলের মতো যে টুর্নামেন্ট হতে চলেছে সেটা কী ভাবে হবে তা জানার জন্য আমরা কাল (আজ বুধবার) সন্ধেয় সভা করতে চাই। আপনি ব্যবস্থা করুন।” কুশলবাবু যা পাঠান স্পনসরদের। রাজ গোমস রাতে মুম্বই থেকে বললেন, “কুশলবাবু লিখেছেন স্পনসররা এখনও তৈরি নন।”
মুম্বইয়ে মঙ্গলবার সকালে ক্লাব জোটের সভা শুরুর আগেই গোয়ার ক্লাবগুলি দাবি তোলে, আইপিএল নিয়ে স্পনসরদের সঙ্গে আলোচনার দরকার নেই। ফুটবলার ছাড়া না হলে বসে লাভ কী? ডেম্পোর মালিক শ্রীনিবাস ডেম্পো, সালগাওকর প্রধান শিবানন্দ সালগাওকর, চার্চিল প্রধান চার্চিল আলেমাও, স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ার পিটার ভাজ বলতে থাকেন, দেখা যাক রিলায়্যান্স কী ভাবে আইপিএল করে। তাঁদের যুক্তি, ওই টুর্নামেন্ট চালু হলে ভারতীয় ফুটবলের ক্ষতি হবে। আই লিগের আকর্ষণ শেষ হয়ে যাবে।
|
শর্ত যেমন হতে পারে
১ ) প্রত্যেক টিম থেকে চার জন করে ফুটবলার নিতে হবে আই পি এলে। তার বদলে ফুটবলার
প্রতি ছয় মাসের বেতন স্পনসররা দেবে ক্লাবকে। ফুটবলার নয়, চুক্তি হবে ক্লাবের সঙ্গেই।
২) নবি, নির্মল, সঞ্জুদের সঙ্গে বর্তমানে করা রিলায়্যান্সের চুক্তি বাতিল করতে হবে।
ফুটবলারদের টাকা দেবে ক্লাবই।
৩) ১৪ টিমকে এক কোটি টাকা করে দিতে হবে। |
|
কিন্তু বাংলার দুই প্রধানের দুই কর্তা মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত এবং ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার তাঁদের বলেন, আইএমজি যখন আলোচনায় বসতে চাইছে তখন কথা বলতে বাধা কোথায়? শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, স্পনসরদের সঙ্গে ক্লাব জোটের পক্ষে আলোচনায় বসবে ছ’জনের কমিটি। সেখানে থাকবেন ফেডারেশন সচিবও। জোটের এক কর্তা মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, “আইএমজি কী করতে চাইছে, আমরা জানিই না। সব তো মিডিয়ায় পড়েই জেনেছি। ওরা কী করতে চাইছে সেটা জেনেই এগোনো হবে।”
ক্লাব কর্তারা সরকারি ভাবে ফুটবলার না ছাড়ার ব্যাপারে অটল থাকলেও তাঁদের উপর ফেডারেশনের একটা চাপ আছে। আইপিএল না করতে পারলে স্পনসরশিপ থেকে সরে যেতে পারে আইএমজি-আর। তখন বিপদে পড়বে ফেডারেশন।
ফেডারেশন ও রিলায়্যান্সের সঙ্গে যে দিনই আলোচনা হোক, কয়েকটি শর্ত দিতে পারে ক্লাবগুলি। শর্তগুলি এ রকম হতে পারে। ১) প্রত্যেক টিম থেকে চার জন করে ফুটবলার নিতে হবে আইপিএলে। তার বদলে ফুটবলার-প্রতি ছ’মাসের বেতন স্পনসররা দেবে ক্লাবকে। ফুটবলার নয়, চুক্তি হবে ক্লাবের সঙ্গেই। ২) নবি, নির্মল, সঞ্জুদের সঙ্গে বর্তমানে করা রিলায়্যান্সের চুক্তি বাতিল করতে হবে। ফুটবলারদের টাকা দেবে ক্লাবই। ৩) ১৪ টিমকে এক কোটি টাকা করে দিতে হবে।
এ দিনের মুম্বইয়ে ইউনাইটেড স্পোর্টস, মুম্বই টাইগার্স এবং শিলং লাজংয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন না। তাঁরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, জোট যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেবেন। |
পুরনো খবর: আইপিএলের সঙ্গে যুদ্ধ জারি রাখল বাংলার ক্লাব জোট |
|
|
|
|
|