ফুটবল আইপিএলে কোনও ফুটবলার ছাড়া হবে না, এই সিদ্ধান্তে অটল থাকল বাংলার নতুন ক্লাব জোট। রহিম নবি, নির্মল ছেত্রী, সঞ্জু প্রধানের মতো চুক্তি করে ফেলা ফুটবলারদেরও ফেরানো হবে না, সেই সিদ্ধান্তও জারি থাকল। তবে নতুন টুর্নামেন্টের স্পনসর আই এম জি-রিলায়্যান্স আলোচনায় বসতে চাইলে তাদের সঙ্গেও বসতে রাজি তারা।
বাংলার ফুটবলে ইতিহাসে যা কখনও হয়নি, তা-ই দেখা গেল শনিবার বিকেলে মহমেডান তাঁবুতে। এক টেবিলে হাজির বাংলার আই লিগের চার ক্লাব। মহমেডান প্রেসিডেন্ট সুলতান আমেদ, ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত এবং ইউনাইটেডের অলোকেশ কুণ্ডু। নিজেদের মধ্যে সব লড়াই ভুলে তাদের একজোট হওয়ার কারণ আই এম জি রিলায়্যান্সের প্রস্তাবিত আই পি এল ধাঁচের ফুটবল টুর্নামেন্টের বিরোধিতা। ক্লাব কর্তাদের আশঙ্কা এই টুর্নামেন্ট চালু হলে এবং তা সাফল্য পেলে ক্লাবগুলির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে। যেমন হয়েছে ক্রিকেট টেস্ট নিয়ে। ক্রিকেট আই পি এল চালু হওয়ার পর টেস্টে দর্শকই হচ্ছে না।
আর এই আশঙ্কা থেকেই আই লিগের ১৪ ক্লাবের সর্বভারতীয় জোট মঙ্গলবার সভা ডেকেছে মুম্বইতে। সেখানে বাংলার চার টিমের বক্তব্য কী হবে তা ঠিক করতেই চমকপ্রদ এই সভা বসে এ দিন। সভার পর সভার আহ্বায়ক সাংসদ সুলতান আমেদ বললেন, “আমরা পুরানো সিদ্ধান্তেই অটল থাকছি। আইপিএলে সই করা কোনও ফুটবলারকে ক্লাবে নেব না। তবে স্পনসররা যদি ডাকে তা হলে আলোচনায় বসব আমরা। আমরা এক সুরে এটাই জানাব মঙ্গলবারের সভায়ও।” বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, স্পনসরদের এজেন্টের সঙ্গে যে ফুটবলাররা চুক্তি করেছেন তা মানা হবে না। রিলায়্যান্সের সঙ্গে আলোচনা হলে বলা হবে ওই চুক্তি ভেঙে ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়া হোক। তারপর ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে ফুটবলার ছাড়ার ব্যাপারটির ফয়সলা হোক। সভা থেকে বেরিয়ে এক কর্তা বললেন, “আগে ওদের হাত বাড়াতে হবে, তারপর আমরা বাড়াব।”
ফুটবলারদের পেমেন্ট থেকে স্টেডিয়াম নানা সমস্যার সময় গোয়ার ক্লাবগুলি নিয়মিত আলোচনায় বসে। কিন্তু বাংলার ক্লাবগুলি নিজেদের মধ্যে এতদিন নানা বিষয়ে শুধু ঝামেলাই করে এসেছে। নতুন এই জোটে তাই সবাই খুশি। সেই ‘খুশি’ থেকেই ইউনাইটেড কর্তা অলোকেশ সভায় মোহনবাগানের দেবাশিসকে বলে দেন, “শঙ্কর ওঁরাও-কে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। ওকে তোমরা নিয়ে নাও।” |