রণক্ষেত্র ইউরোপ তৈরি চার সুপারক্লাবের কোচ


বয়স: ৫০
জন্ম: মেসির শহর রোসারিওতে।
মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্য। মেসিরই ক্লাব নেওয়েল ওল্ড বয়েজে ১৬ বছর চুটিয়ে খেলেছেন। ডাক নাম ‘টাটা’।
বিশেষত্ব: এজেন্ট না রাখা। মেসির বাবা জর্জের ফুটবলজীবনের অনুপ্রেরণা জেরার্দো।
কোচিং দর্শন: মাটিতে বল রেখে ছোট-ছোট পাসে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে পছন্দ করেন। লং বল ফুটবল নাপসন্দ।
প্লাস: মেসির পছন্দের লোক। ফুটবলারদের আস্থা অর্জন করতে সমস্যা হবে না।
মাইনাস: ইউরোপের ক্লাবে কোচিং করাননি।
অস্ত্র: মাঝমাঠে জাভি-ইনিয়েস্তার মতোই আক্রমণে মেসি-নেইমার যুগলবন্দি।
সাফল্য: ১৯৯৮ থেকে কোচিং শুরু। প্যারাগুয়ের ক্লাব ফুটবলে ২০০২ থেকে পাঁচ বছর সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করানোর পর ২০০৭-এ সে দেশের জাতীয় কোচ হন। ২০১০ বিশ্বকাপে তাঁর প্রশিক্ষণেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছোয় প্যারাগুয়ে। পরের বছর কোপা আমেরিকায় প্যারাগুয়ে রানার্স-আপ। ফাইনালে যাওয়ার পথে ব্রাজিলকে হারায় প্যারাগুয়ে। ২০১২ থেকে নেওয়েল ওল্ড বয়েজ কোচ।

বয়স: ৫৪
জন্ম: ইতালির রেগিওলোতে।
সিরি এ টিম রোমার ও এসি মিলানে খেলেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপে বাজ্জোদের সতীর্থ। প্যারিস সাঁ জাঁ-কে লিগ ওয়ান জেতানোর পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালেও নিয়ে যান।
কোচিং দর্শন: ফুটবলারদের চাপমুক্ত রাখা। লং বলের সঙ্গে বার্সার তিকিতাকার মিশেল।
প্লাস: দক্ষ ট্যাকটিশিয়ান। এরিকসন, কাপেলো, আরিগো সাক্কিদের কোচিংয়ে খেলার অভিজ্ঞতা।
মাইনাস: আক্রমণের সঙ্গে রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজির মেলবন্ধন ঘটাতে গিয়ে মাঝে মাঝে ব্যর্থ।
অস্ত্র: রোনাল্ডো, দি’মারিয়া, ভারান, ওজিল, ইস্কো।
সাফল্য: এসি মিলানকে দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন করেছেন বিশ্ব ক্লাব কাপে। চেলসিকে ইপিএল ও এফএ কাপ জিতিয়েছেন।

বয়স: ৫০
১৯৯৮ সালে প্রেস্টন নর্থ এন্ডের কোচ হয়ে শুরু। তার পরে এভার্টনে ১১ বছর কোচিং।
কোচিং দর্শন: বল দখলের উপর নজর দেন। উইংব্যাকদের আক্রমণে ব্যবহার করেন। ৪-৪-১-১ পছন্দের ফর্মেশন।
প্লাস: কম টাকায় ভাল দল গড়তে পারেন। তরুণ ফুটবলারদের তুলে আনতে পারেন।
মাইনাস: ট্রফি-খরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় টুর্নামেন্টে অনভিজ্ঞ। বড় ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা নেই।
অস্ত্র: রবিন ফান পার্সি, রিও ফার্দিনান্দ।
সাফল্য: এভার্টনকে ২০০৯ এফএ কাপ ফাইনালে তোলা। ধারাবাহিক ভাবে তারকা ফুটবলারদের হারিয়েও প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকা।

বয়স: ৫০
ববি রবসনের সহকারী হিসেবে এফসি পোর্তো এবং বার্সেলোনায় কোচিং শুরু। তার পরে বেনফিকা থেকে এফসি পোর্তো, চেলসি, ইন্টার মিলান, রিয়াল ঘুরে ফের চেলসিতে।
কোচিং দর্শন: আগে ৪-৩-৩ ছকে দল সাজালেও তিনি প্রথম ৪-২-৩-১ ফর্মেশন নিয়ে আসেন ফুটবলবিশ্বে।
প্লাস: কম সময়ের মধ্যে দলকে সাফল্য দিতে পারেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের রং বদলাতে পারেন।
মাইনাস: কোচদের সঙ্গে ঝামেলা। তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে বিবাদের ইতিহাস।
অস্ত্র: খুয়ান মাতা, এডেন হ্যাজার্ড, দাভিদ লুইজ।
সাফল্য: এফসি পোর্তোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। চেলসিকে পঞ্চাশ বছর পরে ইপিএল খেতাব। ইন্টার মিলানে ‘ইতালিয়ান ত্রিমুকুট’। এ ছাড়াও রিয়ালকে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা জেতান।

‘আশা করিনি ফোনটা পাব’
টিটো ভিলানোভার উত্তরসুরি হিসেবে তাঁর নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরপরই জেরার্দো মার্টিনো বলে দিয়েছেন, তাঁর নতুন টিমে এমন সব ফুটবলার আছে যাদের সব কোচই চায়। “বার্সেলোনায় যে সব ফুটবলার আছে, বিশেষ করে লিও, তারা তো বিশ্বের সব কোচের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় আছে। আশা করছি ওদের প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারব। ওদের জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব,” আর্জেন্তিনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দিন বলেছেন মার্টিনো। বার্সেলোনার নতুন কোচ হিসেবে মার্টিনোর দিকেই ভোট ছিল ক্লাবের প্রধান তারকা মেসির। বার্সার সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি সই করতে চলা মার্টিনো নিজেও সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। মেসির স্বদেশীয় মার্টিনো এ দিন বলেছেন, “বার্সেলোনা কী ভাবে আমার নাম বাছাই করল, তার খুঁটিনাটি আমি জানি না। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে মেসি আর ওর বাবা জর্জের প্রভাব ছিল এই সিদ্ধান্তের উপর। কতটা প্রভাব ছিল বলতে পারব না, কিন্তু ওদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর্জেন্তিনার প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমীর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।”
প্যারাগুয়ের প্রাক্তন জাতীয় কোচ মার্টিনো স্বভাবতই মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের দায়িত্ব নিতে। “বার্সেলোনা যে আমার কথা ভেবেছে, আমার কোচিং দর্শনকে এ ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে আমি ভীষণ খুশি। বার্সা থেকে ওই ফোনটা পেয়ে কতটা গর্ব হচ্ছিল, বোঝাতে পারব না। এটা আমি আশাই করিনি,” বলছেন উচ্ছ্বসিত মার্টিনো।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.