|
|
|
|
আগুন বার করতে জানেন নতুন কোচ, বলছেন লক্ষ্মীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুর্দান্ত ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কিল।
ব্যাটিং-টেকনিক সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান।
শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার খিদে। হারার আগে হার না মানার প্রতিজ্ঞা।
বিতর্ক থেকে টিমকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা।
বাংলার নব নিযুক্ত কোচ অশোক মলহোত্রকে নিয়ে ঠিক এমনটাই মনে হচ্ছে বাংলার ক্রিকেটারদের।
১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি ভাবে চুক্তি শুরু হলে কী হবে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটকে যাচ্ছেন অশোক। যেখানে বাংলা রঞ্জি প্রস্তুতির টুর্নামেন্ট খেলছে। আর লক্ষ্মীরতন শুক্ল থেকে সৌরাশিস লাহিড়ী সবার মনে হচ্ছে, ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে আগুন কী ভাবে বার করে আনতে হয়, জানেন অশোক।
লক্ষ্মী যেমন। বাংলার গত বারের অধিনায়ক বলছিলেন, “অশোক পাজির সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজকের নয়। আমি যখন ভারতীয় দলে ঢুকি, তখন উনি নির্বাচক। ওঁর একটা ব্যাপার অসম্ভব ভাল লাগে যে, ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে কী ভাবে আগুনটা বার করতে হয়, জানেন।” সঙ্গে যোগ করছেন, “ব্যাটিংয়ের টেকনিক ওঁর অসম্ভব ভাল। আমাদের টিমে প্রতিভার তো অভাব নেই। কিন্তু আমাদেরও একটা জিনিস বুঝতে হবে। উনি অনেক কিছু শেখাতে পারবেন যেমন, তেমন আমাদেরও শিখে সেটা কাজে লাগাতে হবে। পারলে রঞ্জি না আসার কারণ নেই।” বাংলার অফস্পিনার সৌরাশিসের আবার মনে হচ্ছে, মলহোত্রের ইউএসপি হতে যাচ্ছে তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট। “টিমে পনেরো জন প্লেয়ার থাকে। সবাইকে সমান সময় দেওয়া কোচের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু ওঁকে দেখেছি, উনি কখনও বাছ-বিচার করেন না। সবাইকে সমান গুরুত্ব দেন। আরও একটা ব্যাপার। আমরা দেখি যে, মরসুম শুরু হওয়ার আগেই নানা রকম বিতর্ক তাড়া করে বাংলা ক্রিকেটকে। অশোক পাজি জানেন পরিস্থিতি সামলাতে।”
প্রায় একই জিনিস মনে হচ্ছে প্রধান নির্বাচক দীপ দাশগুপ্তের। যিনি এক সময় অশোকের সঙ্গে ক্লাব ক্রিকেট চুটিয়ে খেলেছেন। বেঙ্গালুরু থেকে দীপ বলছিলেন, “উনি অসম্ভব প্যাশনেট। ক্লাবে খারাপ খেললে গালিগালাজ খেয়েছি যেমন, ভাল খেললে প্রশাংসাও তেমন করতেন। ওঁর আর একটা বড় সুবিধা হচ্ছে, উনি টিমটাকে চেনেন। প্লেয়ারদের জানেন। বাইরের কোচের পক্ষে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিশতেই সময় লেগে যায়। সে দিক থেকে পাজি-র অ্যাডভান্টেজ।”
|
পুরনো খবর: ক্লাবের চাপ আর টিমের শৃঙ্খলা সামলাতেই আমদানি কড়া হেডস্যার |
|
|
|
|
|