ডলারের তুলনায় টাকার পতন রুখতে মঙ্গলবার আরও এক দফা ব্যবস্থা নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
মূলত ব্যাঙ্কের হাতে নগদের জোগানে রাশ টেনেই টাকার দামে স্থিতি ফেরাতে চায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এর আগে গত ১৫ জুলাইও টাকার জোগান কমাতে দাওয়াই ঘোষণা করে তারা। অন্য দিকে, চলতি খাতে লেনদেন ঘাটতি কমিয়ে টাকার উপর চাপ কমাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সোনা আমদানির উপর সোমবার যে বাড়তি বিধিনিষেধ এনেছে, তার ফলও মিলল হাতে হাতে। সেনসেক্স মঙ্গলবার ১৪৩ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছে যায় হত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্কে। বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স ছিল ২০,৩০২.১৩ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া দাওয়াইয়ের মধ্যে রয়েছে:
চটজলদি শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে নগদ হাতে পাওয়ার ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে অর্ধেক করা।
লিক্যুইডিটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ফেসিলিটি (ল্যাফ)-র আওতায় শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে রেপো রেটে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক যে-ধার নেয়, সেটাই অর্ধেক করা হল। প্রতিটি ব্যাঙ্কের জন্য তা আমানতের ১% থেকে কমে হল ০.৫%। সরকারি ঋণপত্র গচ্ছিত রেখে এই ধার নেয় ব্যাঙ্ক।
বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে রাখা নগদ জমা (সিআরআর)-র গড় বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ।
দৈনিক ভিত্তিতে গড় সিআরআর এত দিন ৭০% রাখলেই চলত। এখন তা ৯৯% করতে বলল শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
এই দুই পদক্ষেপের ফলে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতি থেকে শুষে নেওয়া সম্ভব হবে বলে ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে বাজার খোলার পর উঠলেও টাকার দাম এ দিন ৪ পয়সা পড়েছে। ফলে দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫৯.৭৬ টাকা।
|