কামদুনির পরে খোরজুনা ও রানিতলা। রাজ্য সরকারের তদন্তে ভরসা না পেয়ে সুবিচারের আশায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গের আরও দু’টি পরিবার। কামদুনির বাসিন্দাদের মতোই আজ প্রণববাবুর কাছে তাঁদের অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দেন মুর্শিদাবাদের দুই নির্যাতিতার পরিবারের প্রতিনিধিরা। জেলার এসপি হুমায়ুন কবীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। প্রণববাবু বলেন, তিনি ওই ঘটনাগুলি সম্পর্কে অবহিত। সিবিআই তদন্তের বিষয়ে তাঁর কিছু সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই গণ্ডির মধ্যে থেকেই তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। শুধু রাষ্ট্রপতির সঙ্গেই নয়, আজ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী, পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা সি পি জোশীর সঙ্গেও দেখা করে দশ জনের ওই প্রতিনিধিদলটি। দিল্লিতে নিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান মমতা শর্মার সঙ্গেও। পরিবার দু’টির দাবি, মমতা শর্মা জানিয়েছেন, ২৮ জুলাই তিনি মুর্শিদাবাদে যাবেন। আগামিকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিনিধিদলটির। |
সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি খোরজুনার নিহত মহিলার চরিত্র নিয়ে পুলিশ প্রশ্ন তুলেছে বলেও অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। নিহত মহিলার দাদার বক্তব্য, “আমাদের আপত্তি দু’টি জায়গায়। প্রথমত, পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ নিতে রাজি নয়। দ্বিতীয়ত, আমার বোনের নামে অযথা কলঙ্কলেপন করে ঘটনাটির গুরুত্ব কমাতে চাইছে পুলিশ। তাই সিবিআই তদন্ত চেয়েছি।”
রানিতলার ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ, “মেয়ের পোশাক পড়ে ছিল দেহের পাশে। তবু পুলিশ ওই ঘটনাকে স্রেফ খুনের মামলা বলে চালাতে চাইছে। হুমায়ুন কবীরকে সে কথা বলা হলে তিনি উল্টে গ্রাম পুরুষ-শূন্য করে দেওয়ার হুমকি দেন।” পরিবারের সদস্যদের দাবি, রাহুল জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। |