উত্তর ২৪ পরগনায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শেষের দিন ভবানী ভবনে জেরার জন্য প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে সিআইডি-কেই বাড়িতে ডেকে পাঠালেন গৌতমবাবু! সিআইডি ডেকেছিল বিকালে। প্রাক্তন মন্ত্রী ডাকলেন সকালে!
আবাসন-দুর্নীতির একটি অভিযোগে গৌতমবাবুকে ইতিমধ্যেই এক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। দ্বিতীয় দফার জেরার জন্য আজ, বুধবার বিকাল ৪টেয় ফের তাঁকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ডিএসপি (সিআইডি)-কে জবাবি চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গলবার পাল্টা চাল দিয়েছেন গৌতমবাবু। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগকে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তাঁর পক্ষে ওই সময়ে ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে জিজ্ঞাসাবাদের বাকি পর্ব সারা যেতে পারে। আর সিআইডি-র যদি আজই জেরা করার বাধ্যবাধকতা থাকে, তা হলে গোয়েন্দারা সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে আসতে পারেন। তাঁকে হয়রান করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সরকারের বিরুদ্ধেই অবমাননার অভিযোগে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী।
সিআইডি-কে চিঠির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এ দিন গৌতমবাবুর মন্তব্য, “শ্রীমতির মনে অনেক বাসনা আছে। ভোটের মুখে আমাদের অনেক মিটিং-মিছিল আছে। সেই সময় একটা রাত গৌতম দেবকে উনি লক-আপে রেখে দিতে চান! তাই বিকালে ডেকেছেন। ভোটের পরে মমতার এই পৈশাচিক ইচ্ছা পূরণের জন্য দু’দিন না হয় জেল দেখে আসব! কিন্তু ভোটের আগে তাঁদের সাধপূরণ করতে চাই না!” গৌতমবাবুর যুক্তি, বিকালে জেরা করতে গিয়ে তাঁকে যদি গ্রেফতার করা হয়, সেই রাতে জামিন পাওয়া মুশকিল হবে। সন্ধ্যার পরে আদালত খোলা থাকবে না।
গৌতমবাবুর দাবি, “দিদিমণির সরকার যা করছে, করুক! আমরা আইন মেনে কাজ করেছি। লুকোচুরি, কারচুপির প্রয়োজন নেই। সিএজি, পিএসি, বিধানসভায় কেউ অনিয়ম খুঁজে পাননি। এখন আমাকে এবং বামফ্রন্টকে অপদস্থ করতে যাঁরা দুর্নীতির রন্ধ্র খুঁজছেন, তাঁদের মামলার মুখোমুখি হতে হবে!”
|