দীর্ঘ ২০ বছর মামলা চলার পরে প্রায় ১২ হাজার স্কুলশিক্ষকের পেনশন নিয়ে সমস্যা মিটল। ছ’মাসের মধ্যে ওই শিক্ষকদের পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু কর্মরত শিক্ষকও এই ব্যবস্থার আওতায় আসছেন।
১৯৮৫ সালে স্কুলশিক্ষকদের জন্য রাজ্যের তৎকালীন সরকার একটি পেনশন প্রকল্প চালু করেছিল। বলা হয়, যাঁরা পেনশন নিতে আগ্রহী, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সরকার কোনও অর্থ জমা দেবে না। সেখানে শুধু শিক্ষকের নিজের দেওয়া অর্থই থাকবে। আর যাঁরা পেনশন নেবেন না, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাজ্য সরকারও অর্থ জমা দেবে। তখন শিক্ষকদের বেতন ছিল কম। তাই পেনশনের সামান্য টাকার বদলে অনেক শিক্ষকই প্রভিডেন্ট ফান্ডে যাতে সরকারি অর্থ জমা পড়ে, সেই ব্যবস্থার ব্যাপারেই আগ্রহ দেখান। পরবর্তী কালে, ’৯০ সালে শিক্ষকদের নতুন বেতন-কাঠামো চালু হয়। সেই সময় শিক্ষকদের বেতন বাড়ে। তাতে পেনশনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যাঁরা আগে পেনশন নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন, তাঁরা পড়েন বিপাকে।
পরে পেনশনের ব্যাপারে নতুন করে মতামত জানানোর জন্য রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তি সর্বত্র প্রচারিত হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষকই ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তখন কিছু শিক্ষক সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন। সেই মামলা চলে প্রায় ২০ বছর।
এই মামলার অন্যতম আইনজীবী শক্তিপদ জানা জানান, পেনশন মানে অবসরকালীন প্রাপ্য। সেই প্রাপ্য থেকে কোনও শিক্ষককেই বঞ্চিত করা যায় না। হাইকোর্ট এই মর্মেই রায় দিয়েছে। রাজ্য সরকার ’৮৫ এবং ’৯১ সালে পেনশনের ব্যাপারে মতামত জানানোর জন্য যে-বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে। রায়ে বলা হয়, যে-সব শিক্ষক চাইবেন, তিন মাসের মধ্যে পেনশনের দাবি জানিয়ে আবেদন করতে পারবেন। ছ’মাসের মধ্যে আবেদনকারী শিক্ষকদের পেনশন দেওয়া শুরু করতে হবে এবং তাঁরা পাওনা পাবেন ’৮১ সাল থেকে।
|
প্রথম ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে মোট ২৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে বর্ধমানের ২১টি, হুগলির পাঁচটি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি বুথ রয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এবং বেলপাহাড়ি ব্লকের একটি করে বুথে ১৮ জুলাই ফের ভোট হবে। ওই দিনই ফের ভোট হবে হুগলির তারকেশ্বর ব্লকের দু’টি এবং চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ও পোলবা-দাদপুর ব্লকের একটি করে বুথে। বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লকের চারটি; কেতুগ্রাম-২, রায়না-১ ব্লকের তিনটি বুথ; কেতুগ্রাম-১, বর্ধমান-১ ব্লকের দু’টি করে বুথ ছাড়াও পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে জামুড়িয়া, গলসি-১, কাটোয়া-১, কাটোয়া-২, আউশগ্রাম-২, মন্তেশ্বর এবং বারাবনি ব্লকের একটি করে বুথে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের ইঙ্গিত, বুথের সংখ্যা বাড়তে পারে। |